কলকাতা: রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকের পরই দিল্লি সফরে গিয়েছেন রাজ্যপাল৷ সেখান থেকে একাধিক ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি৷ কিন্তু দিল্লি রওনা হওয়ার আগেও কড়া ভাষায় বিঁধেছেন রাজ্য সরকারকে৷ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি৷ এই সংঘাতের আবহেই মাথাচাড়া দিয়েছে রাজ্যপাল বদলের জল্পনা৷ জগদীপ ধরকড়ের বদলে অন্য কাউকে রাজ্যে আনা হতে পারে বলে শুরু হয়েছে কানাঘুষো৷
আরও পড়ুন- ‘ডামি জামাই’ থেকে ‘ফুলটুসি’, জামাইষষ্ঠীতে শোভন-বৈশাখীকে একহাত কুণালের
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচবের পর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল জগদীপ ধনকড়কে৷ রাজ্যপাল পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্ঘে সংঘাতে জড়িয়েছেন তিনি৷ বিধান সভা ভোটের আগেও রাজ্যেই আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার প্রশাসনের রাজনীতিকরণ করেছেন বলেও সুর চড়িয়েছিলেন৷ এবার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে খড়গহস্ত তিনি৷ দিল্লি রওনা হওয়ার আগে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে৷ সেই চিঠি প্রকাশ্যেও নিয়ে আসেন রাজ্যপাল৷ যার তীব্র নিন্দা করে সরকার৷
দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে পারেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে তাঁর৷ ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী ও পর্যটনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি৷ কিন্তু এসেবর মাঝেই খবর আসছে এবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের দায়িত্ব থেকে সরতে পারেন তিনি৷ তাঁর জায়গায় আনা হতে পারে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আরিফ মহম্মদ খানকে৷
আরও পড়ুন- আপাতত নিয়ন্ত্রণে বাংলার করোনা গ্রাফ, উদ্বেগ বাড়চ্ছে ‘উত্তর’
এক সময় তিনি রাজীব গান্ধীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন৷ পরে কংগ্রেস ছেড়ে জনতা দল ও তারপর বিজেপি’তে যোগ দেন৷ তিনি এখন কেরলের রাজ্যপাল৷ ভোটের আগে কেরল সরকারের সঙ্গে তাঁর বিরোধ দেখা দিয়েছিল৷ রাজনীতির কারবারিরা বলছে, জগদীপ ধনকড়কে সরিয়ে আরিফ মহম্মদ খানকে রাজ্যপাল করা হলেও স্বস্তি পাবে না রাজ্য সরকার৷