নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামে ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে চোখে জল রাজ্যপালের৷ আজ নন্দীগ্রামের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি৷ আর তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনতে শুনতেই কেঁদে ফেললেন রাজ্যপাল৷ সেই সঙ্গে একহাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷
আরও পড়ুন- হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে নন্দীগ্রামে রাজ্যপাল, দেখা করলেন শুভেন্দু
এদিন রাজ্যপাল বলেন, এখানে মানুষকে বোমা দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে৷ অথচ পুলিশ-প্রশাসন নির্বিকার৷ গণতান্ত্রিক দেশে এমন অবস্থা দেখতে হবে তা কখনও ভাবিনি৷ এক কিলোমিটার পথে হেঁটে এসে যা দেখলাম, তা বিশ্বাস করতে পারছি না৷ নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার মূল্য এভাবে চোকাতে হবে?’’ তিনি আরও বলেন, এখন দেশে করোনা মহামারী চলছে৷ এরই মধ্যে ভয়াবহ হয়ে উঠেছে ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি৷ যেখানেই যাচ্ছি, সেখানেই দেখছি লোক পালিয়ে গিয়েছে৷ আর যাঁরা রয়েছেন তাঁর আক্রান্ত, শোকাহত৷ এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি কল্পনাতীত৷ তাঁর কথায়, কিছু মানুষ অপরাধ করেও শান্তির ঘুম ঘুমাচ্ছে৷
রাজ্যপাল বলেন, ‘‘একদল মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। আরেক দল মানুষ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পুলিশ প্রশাসনের ভয় নেই তাদের৷’’ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘মানুষ কোভিড পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে পড়েছে। রাজ্যের প্রথম সেবক হিসাবে হাত জোর করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করছি, মানুষের দুঃখ বুঝে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করুন৷ ভোট পরবর্তী হিংসার বিরুদ্ধে লড়াই লডুন।’
আরও পড়ুন- রাত ৯টে থেকে ভোর ৫টার মধ্যে অযথা রাস্তায় বেরলেই আটক করবে পুলিশ
এদিকে রাজ্যপালের নন্দীগ্রাম সফরের পর সৌগত রায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে রাজ্যপাল সবচেয়ে হাস্যকর লোক৷ কেউই তাঁর কথা গুরুত্ব দিয়ে দেখে না৷ গাঁয়ে মানে না, আপনিই মোড়ল হিসেবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আজ শুভেন্দু অধিকারীও বলেছেন, বিজেপি’র কোনও লোক রাজ্যপালের সঙ্গে থাকবে না৷ উনি বিজেপি’র লোকদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরছিলেন৷ ওঁনার এই সময় উচিত ছিল কোভিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করা আর মানুষকে সচেতন করা৷