কলকাতা: রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত কোনও নতুন বিষয় নয়৷ এবার রাজ্যের উপাচার্যদের নিয়ে অসন্তুষ্ট জগদীপ ধনকড়৷ রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন তিনি৷ শাসকদলের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে তাদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে বলেই অভিযোগ তাঁর৷ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যের বেশকিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য-উপাচার্যদের রাজভবনে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল৷ কিন্তু তাঁরা কেউই রাজভবনে গিয়ে ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করেননি৷ শুক্রবার সকাল হতেই এ বিষয়ে টুইট করেন ক্ষিপ্ত রাজ্যপাল৷
আরও পড়ুন- ‘টাকার প্রয়োজন হলেই ঠিক দেখা করবেন দিদি,’ মোদীর বৈঠকে ‘না’ করতেই খোঁচা দিলীপের
উল্লেখ্য, এর আগেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তাঁদের৷ সেবারও তাঁরা রাজভবনে যাননি৷ দ্বিতীয়বারেও একই পরিস্থিতি৷ যা নিয়ে অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল৷ এমনকী বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি-কে দিয়ে তদন্তের ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি৷ এদিন সকালে টুইট করেন রাজ্যপাল৷ সেখানে একটি শূন্য চেয়ারের ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে৷ তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে শিক্ষাব্যবস্থার ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। রাজ্যের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আচার্য এবং উপাচার্য রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করতে এলেন না। আমি উদ্বিগ্ন৷’’ এর আগে টুইটে তিনি লিখিছিলেন, ‘‘রাজভবনে প্রত্যেকটি বৈঠক কোভিড প্রোটোকল মেনে হয়৷ আপনাদের অজুহাত একেবারেই সঠিক নয়। হয়তো আপনারা সরকারের ভয়ে আসছেন না। আগামী ২৩ ডিসেম্বর বৈঠকের নতুন নির্ঘন্ট ঠিক করা হয়েছে। আশাকরি আপনারা আসবেন।’’ তিনি এর পরেও কেউ রাজভবনে যাননি৷
রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এর আগেও একাধিকবার সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসাবে তিনি ‘কর্তৃত্ব ফলাচ্ছেন’ বলেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল৷ অতিমারি পর্বের আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিকবার বিক্ষোভের সম্মুখীনও হতে হয়েছিল রাজ্যপালকে৷ তবে রাজ্যপাল যাই বলুন না কেন, তাতে আমল দিতে নারাজ রাজ্য সরকার৷ কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘উনি রাজনীতি করার জন্যে এখানে এসেছেন। রোজই নানা ধরনের কথা বলে থাকেন। ওঁর সব কথা শুনতে হবে, সব কথায় পাত্তা দিতে হবে, এর কোনও মানে নেই।’’