পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ চাই, শীতলকুচি যাচ্ছেন রাজ্যপাল

পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ চাই, শীতলকুচি যাচ্ছেন রাজ্যপাল

কলকাতা: রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় মারাত্মক ঘটনা ঘটে গিয়েছিল কোচবিহারের শীতলকুচিতে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৪ জন ভোটারের। সেই মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি কম হয়নি। বিজেপি কাঠগড়ায় তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, দাবি করা হয়েছিল তাঁর উস্কানি মূলক মন্তব্যের জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করেছিল যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী সেখানে গুলি চালিয়েছিল। ভোটের পরেও শীতলকুচি নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। এবার সেই এলাকা পরিদর্শন করতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

এদিন টুইট করে তিনি জানান, আগামী ১৩ মে ভোট-পরবর্তী হিংসার আবহে কোচবিহার ছাড়াও শীতলকুচিতে তিনি যাবেন এলাকা পরিদর্শনের জন্য। সেখানে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের অবস্থার কথা জানতে যাবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এমনকি বিএসএফ হেলিকপ্টার করে সেখানে যাবেন এটাও উল্লেখ করে দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় তদন্তের প্রেক্ষিতে সেইদিন নির্দিষ্ট বুথে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের তলব করেছে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, তাদের থেকে সেই দিনের ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ চান তদন্তকারী অফিসাররা। জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে থাকা সিআইএসএফ অফিসার সহ ৬ জনকে তলব করা হয়েছে সিআইডির তরফে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানিয়ে দিয়েছিলেন যে ক্ষমতায় আসার পর তিনি শীতলকুচি কাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবেন। সেই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই তৎপরতা দেখাতে শুরু করেছে সিআইডি। উল্লেখ্য, সোমবার সিআইডির নির্দেশ মেনে ভবানীভবনে হাজিরা দিয়েছেন মাথাভাঙা থানা আইসি। তাঁকে অনেকক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এবার তলব করা হল জওয়ানদের। যদিও করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির জন্য তারা সশরিরে উপস্থিত থাকতে চান না বলে জানিয়েছিলেন। যদিও সিআইডি সেই আবেদন নাকচ করেছে। শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে বিজেপি সরাসরি দায়ী করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিমূলক মন্তব্যকে। পরে কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ফোনালাপ ভাইরাল করে তারা। যার প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি আরও সরগরম হয়। কিন্তু আখেরের কোন লাভ করতে পারেনি বিজেপি। বাংলার নির্বাচনে কার্যত ধরাশায়ী হয়েছে তারা। যে অডিও টেপ ভাইরাল হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই টেপে শোনা গিয়েছিল যে তিনি কোচবিহারের পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবেন ভোটের পরে। সেই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *