পরিস্থিতি কেমন? কোচবিহারের পর এবার নন্দীগ্রাম যাবেন রাজ্যপাল

পরিস্থিতি কেমন? কোচবিহারের পর এবার নন্দীগ্রাম যাবেন রাজ্যপাল

b1d124fcc39c377965b9967f6a39afad

কলকাতা: ভোট-পরবর্তী হিংসায় রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বিজেপি দাবি করেছে, জায়গায় জায়গায় গেরুয়া কর্মী এবং সমর্থকদের আক্রমণ করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে কোচবিহার সফরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ভোট-পরবর্তী হিংসা চিত্র পরিদর্শন করতে গিয়ে তিনি ফের রাজ্য সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন। এবার নন্দীগ্রাম সফরে যাচ্ছেন তিনি। 

কোচবিহার সফরে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি দেখা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তার সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক। কোচবিহারের গো ব্যাক স্লোগান শুনতে হয় তাঁকে এবং কালো পতাকা দেখানো হয় তাঁর কনভয়কে। সব মিলিয়ে ব্যাপক উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় সেখানে। পরবর্তী ক্ষেত্রে দিনহাটা থানার আইসিকে প্রকাশ্যে ধমক দেন রাজ্যপাল। এবার জানা গেল তিনি নন্দীগ্রাম সফরে যাচ্ছেন। ভোট-পরবর্তী হিংসার পরে এলাকা দেখতে আগামীকাল সকালেই নন্দীগ্রাম যাবেন তিনি বলে জানা গিয়েছে। সকাল সোয়া নয়টায় তিনি কলকাতার আরসিটিসি গ্রাউন্ড থেকে বিএসএফের হেলিকপ্টারে নন্দীগ্রামের হরিপুর হেলিপ্যাডে পৌঁছে সড়কপথে দক্ষিণ কেন্দামারি, নন্দীগ্রাম বাজার, বঙ্কিম মোড়, চিনাগ্রাম পরিদর্শন করবেন। প্রসঙ্গত, গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল জানেন, মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি পাওয়ার পর তিনি তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তিনি যেটা বলছেন সেটা অসাংবিধানিক এবং অনৈতিক। এদিন তিনি আরও বলেন, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে এটা তিনি আগে থেকেই জানতেন এবং সেই ধরনের খবর পাচ্ছিলেন ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার সময়।

এদিকে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেস তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছে। দলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় আজ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যপালের জেলা সফর এবং ভিন রাজ্য থেকে এ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে তাঁর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, রাজ্যপাল সমাজ বিরোধীদের উস্কানি দিতে রাস্তায় নেমেছেন। সাংসদের বক্তব্য, ভোট শেষ হওয়ার পরেই হিংসা দমন করা গিয়েছে এবং রাজ্য সরকারের ভূমিকায় কলকাতা হাইকোর্টেও সন্তোষ প্রকাশ করেছে। কিন্তু রাজ্যপাল শীতলকুচির মতো জায়গায় গিয়ে হিংসায় ইন্ধন জোগাচ্ছেন। ওখানে যে ৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মারা গিয়েছেন বা কোচবিহারে যে ২ তৃণমূল কর্মী খুন হন তাদের পরিবারের সঙ্গেও রাজ্যপাল কেন দেখা করলেন না তা নিয়ে সুখেন্দু শেখর রায় প্রশ্ন তুলেছেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *