সস্ত্রীক করোনা টিকা নিলেন রাজ্যপাল, বললেন, ‘দেশের ভ্যাকসিনে গর্বিত’

সস্ত্রীক করোনা টিকা নিলেন রাজ্যপাল, বললেন, ‘দেশের ভ্যাকসিনে গর্বিত’

6562c1a389b6305199a99aa363c66ced

কলকাতা: সারা দেশজুড়ে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ চলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন নিয়ে নিয়েছেন। এবার কলকাতায় সস্ত্রীক ভ্যাকসিন নিলেন রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এদিন সকালে তিনি পৌঁছে যান আলিপুরের কমান্ড হসপিটালে। সেখানে গিয়ে করোনাভাইরাস টিকা নেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজের টিকা নেওয়ার খবর সকলের সঙ্গে শেয়ার করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

এদিন করোনাভাইরাস টিকা নেওয়ার পর তিনি হাসপাতালে সমস্ত ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একইসঙ্গে বলেছেন, দেশের তৈরি ভ্যাকসিন নিয়ে তিনি গর্ব অনুভব করছেন। টিকাকরণ হয়ে যাওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে তিনি জানান, ভারতবর্ষের টিকাকরণ নিয়ে বিশ্ব প্রশংসা করছে এবং ভারতের তৈরি টিকা নিয়ে তিনি গর্বিত। দ্বিতীয় দফায় যে সকল ব্যক্তির বয়স ৬০ বছরের উপরে তারা টিকা গ্রহণ করছেন। প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল টিকা নিলেও এখনো পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টিকা নেননি। এই বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে আগে জানিয়েছিলেন, যাদের প্রয়োজন তারা আগে টিকা নিয়ে নেবে, সকলের প্রয়োজন নেই তারপরও তিনি টিকা নেওয়ার কথা ভাববেন। প্রসঙ্গত, ‘কোভিশিল্ড’ এবং ‘কোভ্যাক্সিন’ এই দুই টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে গোটা দেশে।

 

আরও পড়ুন- প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই বিদ্রোহ তৃণমূলের অন্দরে, কারও চোখে জল

দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আগের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এদেরও এখনো পুরোপুরি আশঙ্কা কাটেনি ব্যাপক সংক্রমণের। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আরও চারটি রাজ্যের নির্বাচন হয়েছে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই। সেই প্রেক্ষিতেই চিকিৎসক মহল আশঙ্কা করছে যে, সাধারণ মানুষ যদি সচেতন না থাকে না আগের মত তাহলে সংক্রমণ বৃদ্ধি হতেই পারে। এদিকে করোনাভাইরাসের একাধিক নতুন প্রজাতির বাড়বাড়ন্তের কারণে নতুন করে ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়েছে অনেকটাই। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন বাংলায়। ইতিমধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে সমস্ত রাজনৈতিক দলের। জায়গায় জায়গায় জনসভা, মিটিং-মিছিল… সেই প্রেক্ষিতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়েও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। চিকিৎসক মহলের অনুমান, নির্বাচনী পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ আরো বেশি অসচেতন হয়ে গিয়েছে এবং তার জন্য ভাইরাস পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *