অগ্নিকাণ্ড নিয়ে সরকারকেই তুলোধনা, দমকলকেই নিশানা রাজ্যপালের

অগ্নিকাণ্ড নিয়ে সরকারকেই তুলোধনা, দমকলকেই নিশানা রাজ্যপালের

কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় আদতে বিজেপির লোক, প্রত্যেক ইস্যুতে বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলেন। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁর অপসারণ চেয়ে চিঠিও লিখেছিল ঘাসফুল সাংসদরা। সেসব আপাতত অতীত। কিন্তু রাজ্যপালকে নিয়ে প্রশ্ন এখনো উঠছে। কারণ সম্প্রতি স্ট্যান্ড রোডে যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেই ঘটনাতেও বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে দমকলের দিকে আগুন তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি দাবি করেছেন, রেল কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট কাজ করেছে, দমকলকে নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বলেছেন, দমকল দফতরের আরো আধুনিকীকরণ প্রয়োজন যেটা রাজ্য সরকার করেনি। ঘটনাস্থলে অনেক দেরিতে এসেছে দমকল, এছাড়া প্রটোকল ভেঙে কেন লিফট ব্যবহার করা হয়েছে সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল। একই সঙ্গে পরোক্ষে রাজ্য সরকারের দিকে আঙ্গুল তুলে তিনি বলেছেন, গাফিলতির জন্য এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গিয়েছে। রেল নিজের কাজ করেছে বলে দাবি করেন তিনি, এই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে দমকলকে নিশানা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। প্রসঙ্গত, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে বিজেপি একই রকম কথা বলেছে। রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত এবং বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে গোটা ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চেয়েছেন। এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে মূলত একই কথা বলেছেন। 

আরও পড়ুনরেল ভবনে আগুন: ঝলসে মৃত ৯, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা কেন্দ্র-রাজ্যের! দায়ের গাফিলতির মামলা

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে দমকল। হেয়ার স্ট্রেট থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪এ (গাফিলতি), ১১জে এবং ১১এল ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি, পরোক্ষভাবে রেলের দিকে আঙ্গুল তুলে মামলা দায়ের করেছে তারা। কারণ বিল্ডিংয়ের মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিকে বহুতলের বাইরে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, এই বহুতল রেলের মালিকানাধীন। এদিকে রেল ভবনে আগুন লাগার বিষয় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করবে রেল বলে জানা গিয়েছে। যদিও যে কর্মীরা সেখানে কাজ করেন তাদের অধিকাংশের দাবি, বহু কর্মী একই জায়গায় কাজ করার পরেও সঠিকভাবে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা ছিল না সেখানে। এমনকি কোনদিন ফায়ার ড্রিল পর্যন্ত হয়নি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × one =