কলকাতা: রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে টুইটারে ‘ব্লক’ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি নিজে। কেন ব্লক করেছেন তাও স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই ঘটনার অল্প সময়ের মধ্যেই টুইট করে সরব হলেন খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাংবিধানিক নিয়ম-নীতি বোঝালেন তিনি।
আরও পড়ুন- বীরসা মুণ্ডর জন্ম দিবসে পালিত হবে জনজাতি গৌরব দিবস: রাষ্ট্রপতি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক বৈঠকের কিছুক্ষণের মধ্যেই টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি জানান, ”সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫৯-এ বলা আছে, সাংবিধানিক নিয়ম-নীতি এবং আইনের শাসনকে কেউ ব্লক করতে পারেন না”। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত রয়েছেন তাদের দেশের সংবিধানের ওপর আস্থা এবং ভরসা রাখা উচিত। খুব স্পষ্টভাবেই তিনি নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তা এই টুইট দেখে বোঝা স্পষ্ট। প্রসঙ্গত, এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মমতা জানান, তিনি রাজ্যপালকে ব্লক করতে বাধ্য হয়েছেন। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, রাজ্যপালের কাছে বহু ফাইল, অনেক বিল আটকে রয়েছে। তিনি তাঁর সঙ্গে নিজে দেখা করতে গিয়ে এই ব্যাপারে কথা বললেও তাতে কোনও লাভ হয়নি। শুধুমাত্র রাজ্যপালের কারণেই একাধিক কাজ আটকে রয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন মমতা। তিনি এও জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে এই ইস্যুতে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে শেষ দেড় বছর ধরে রাজ্যপালকে ‘সহ্য’ করা হচ্ছে। এই কারণ দেখিয়েই রাজ্যপালকে তিনি টুইটারে ব্লক করে দিয়েছেন।
রাজ্য এবং রাজ্যপাল সংঘাত আবার নতুন মোড় নিয়েছিল কারণ সম্প্রতি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যকে ফের আক্রমণ করেছিলেন জগদীপ ধনকড়। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বাংলার আইন-শৃঙ্খলা প্রসঙ্গও টেনে মমতার সরকারকে একহাত নেন তিনি। এর পাশাপাশি দুর্নীতি নিয়ে তো তিনি প্রথম থেকে সরব। হালে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীকে টুইটে ট্যাগ করে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রশ্ন করেছেন তিনি, উত্তর না পেয়ে কটাক্ষ করেছেন, কড়া পদক্ষেপ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এদিকে আবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যপালকে অপসারণ করার জন্য উদ্যোগী হয়েছে।