কলকাতা: ২ বছর বাড়লো যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের মেয়াদ। তবে এই মেয়াদ বৃদ্ধির কারণে আবার রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত লাগতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ এই ব্যাপারে রাজভবন অনুমোদন দেয়নি, তাই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার।
জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠিয়ে ছিল কয়েক দিন আগে। কিন্তু আজ দুপুর পর্যন্ত কোনরকম অনুমোদন আসেনি রাজভবনের তরফে। এদিকে আজই যাদবপুরের উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হবার কথা। সেই কারণে উচ্চ শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করে উপাচার্য হিসেবে সুরঞ্জন দাসের মেয়াদ আরও দু’বছর বৃদ্ধি করেছে। এই ঘটনায় এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে রাজ্য সরকার আদতে এই রকম কোন পদক্ষেপ নিতে পারে কিনা। তবে শিক্ষাবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে বর্তমান আইন অনুযায়ী সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। রাজ্যপাল শুধুমাত্র সীলমোহর দেন তাই রাজ্য সরকার নিজের মত বিজ্ঞপ্তি জারি করে মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারে। প্রসঙ্গত এর আগে, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য এবং রাজ্যপাল সংঘাত লেগেছিল।
আরও পড়ুন- IAS হতে হতে না পেরে অপরাধ জগতে পা! মেধাবী দেবাঞ্জনের জীবন যেন চিত্রনাট্য
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের সঙ্গেও যে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সম্পর্ক খুব একটা ভালো তা নয়। কারণ যখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় নিগ্রহের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, তখন বিজেপি মন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রাজ্যপাল এবং বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে উদ্ধার করতেও গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় থেকেই রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় রাজ্যপালের। এখন এই মেয়াদ বৃদ্ধির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবার নতুন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বিবাদ লাগে কিনা তা দেখার।