Aajbikel

হস্টেলের ১০৪ নম্বর ঘরেই রহস্যময় চিঠির চিত্রনাট্য, নেপথ্যে কি ধৃত সৌরভ ও সপ্তকের ‘মস্তিষ্ক’?

 | 
যাদবপুর চিঠি

কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুতে উঠে আসে এক রহস্যময় চিঠি৷ প্রাথমিক তদন্তের পর তদন্তকারীদের অনুমান, ঘটনার রাতেই লেখা হয়েছিল চিঠিটি। যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত দীপশেখর দত্ত তদন্তকারীদের সামনে জেরায় কবুল করে নেন যে, তিনিই নাকি ওই চিঠিটি লিখেছিলেন! কিন্তু সেটা সত্য নয়৷ বরং প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে যে, এই রহস্যময় চিঠির নেপথ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ধৃত দুই প্রাক্তনী এবং হস্টেলের আবাসিক সৌরভ চৌধুরী আর সপ্তক কামিল্যা।


গত ৯ অগাস্ট, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের এ-২ ব্লকের নীচ থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার হয় প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া। বৃহস্পতিবার ভোরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনার তদন্তে নেমে হস্টেলের ঘর থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করে পুলিশ। সেই ডায়েরির পাতায় ডিন অব স্টুডেন্টসের উদ্দেশে লেখা ছিল একটি চিঠি৷ জেরায় দীপশেখর জানান, প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া নিজে চিঠিটি লিখতে পারছিলেন না বলে তাঁকে লিখে দিতে বলেছিলেন। অন্যান্য পড়ুয়াদের এই বিষয়ে প্রশ্ন করে জানা যায়, সৌরভ এবং সপ্তকের মাথাতেই নাকি চিঠি লেখানোর পরিকল্পনা এসেছিল।


পুলিশ সূত্রে খবর, হস্টেলের এ-২ ব্লকের ১০৪ নম্বর ঘরেই গোটা চিত্রনাট্য সাজানো হয়েছিল৷ রাত ৯টার পর প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়াকে চার তলায় ওই ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অন্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সৌরভ এবং সপ্তক৷ ছিলেন ধৃত পড়ুয়া মনোতোষ ঘোষও। সেখানেই চিঠিটি লেখা হয়৷ যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডিন অফ স্টুডেন্টস’-এর কাছে বিভাগীয় সিনিয়রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়। তবে এই চিঠি ঘিরে বেশকিছু প্রশ্ন উঠেছিল৷ চিঠিটির শেষে মৃত পড়ুয়ার নামে দু’টি সই করা হয়েছে কেন?  চিঠিটি যদি ডিনের উদ্দেশে লেখা হয়ে থাকে, তা হলে সেটি ডায়েরির পাতায় কেন লেখা হল? কেন সাদা এ৪ কাগজে লেখা হল না? এই সব প্রশ্নেরও উত্তরের খোঁজ করছিলেন তদন্তকারীরা।

Around The Web

Trending News

You May like