বর্ধমান: বিধানসভা নির্বাচনে যেমন দুর্নীতি ও গরু পাচার স্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে, তেমনই বড়সড় ইস্যু CAA বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। মতুয়াদের দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছে বিজেপি। এমনকী প্রধানমন্ত্রীও ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে নাগরিকত্বের কথা বলেলেন। CAA কার্ড খেলে গত লোকসভা নির্বাচনে ফায়দা হয়েছিল বিজেপির। মতুয়াদের প্রচুর ভোট পেয়েছিল তারা। একুশের ভোটেও সেই একই তাস খেলছে বিজেপি। শনিবার জে পি নাড্ডার বক্তব্যে জল্পনা আরও বাড়ল।
এদিন বর্ধমানে সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল সরকারকে কাটমানি ও দুর্নীতি ইস্যু নিয়ে তুলোধোনা করেন তিনি। জানান, পরিস্থিতি এমন এমন যে বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি ২০০ আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে। এরপরই তাঁকে CAA সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে তিনি জানান, বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের অধীন। CAA বা তা কার্যকর হওয়া নিয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না। এটি তাঁর এক্তিয়ার বহির্ভূত।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে মতুয়াদের আধিপত্য রয়েছে। এই আসনগুলির ফলাফলের উপর অনেকটাই বাংলার ভাগ্য নির্ভর করছে। কিছুদিন আগে প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও CAA কার্যকর না হওয়া নিয়ে বলেছিলেন বনগাঁর সাংসদ তথা মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর। কিন্তু পরে তিনি বলেন, কেন্দ্রের উপর তাঁর আস্থা রয়েছে। মতুয়া ও শান্তনু ঠাকুরকে খুশি করতে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৈরি করে শান্তনুর পছন্দের লোককে সভাপতিও করে বিজেপি। কথা রয়েছএ আগামী ৩০ জানুয়ারি ঠাকুরবাড়িতে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তখন মতুয়াদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন তিনি।
কিন্তু রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে ঠাকুরবাড়ি এখন দ্বিধাবিভক্ত। কেউ গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন, কেউ বা ঘাসফুল শিবিরে ঝুঁকেছেন। এই পরিস্থিতিতে নাগরিকত্ব আইন একটি বড় ইস্যু। এটি কার্যকর হতে দেরি হলে মতুয়াদের মন বদলে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।