উইপোকারা বেরিয়ে গেলেই ভালো! বৈশালীর সুরে সুর মিলিয়ে মন্তব্য সোহমের

তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরেই 'উইপোকা'রা দলের ক্ষতি করে চলেছে, তারা বাদ গেলেই ভাল।

কলকাতা: হাওড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা পদত্যাগ দেওয়ার পর বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। তিনি ফের একবার তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের দিকে নিশানা করে বলেন, দলে উইপোকা রয়েছে, তারা আস্তে আস্তে দলকে শেষ করে দিচ্ছে। এবার কার্যত বৈশালীর সুরে সুর মিলিয়ে একই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরেই ‘উইপোকা’রা দলের ক্ষতি করে চলেছে, তারা বাদ গেলেই ভাল।

লক্ষ্মীরতন শুক্লার পদত্যাগ প্রসঙ্গে বৈশালী স্পষ্ট দাবি করেছিলেন, দলের একাংশ কখনো দলের ভালো চাইছে না, তারা শুধুমাত্র বিধায়কদের অপমান করতে চায়, বারংবার কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে তৃণমূলের ওই একাংশকে উইপোকা বলে কটাক্ষ করেন বৈশালী। এদিন তৃণমূলের শাখা সংগঠনের জয় হিন্দ বাহিনী যে পথসভার আয়োজন করেছিল সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সোহম বলেন, উইপোকা যেমন বাড়ির সবকিছু নষ্ট করে দেয়, তেমনি দলে বেশ কিছু উইপোকা রয়েছে যারা দলকে নষ্ট করে দিচ্ছে। বিগত বছরগুলি ধরে ক্রমাগত তৃণমূলকে নষ্ট করেছে তারা। বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া নিজের মন্তব্যে তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলার অথবা ব্লক প্রেসিডেন্টকে আক্রমণ করেছিলেন। সোহম চক্রবর্তী নিজের মন্তব্যে ঠিক তাদের আক্রমণ করলেন তা নিয়ে এখন জল্পনা তুঙ্গে। এর পাশাপাশি বহিরাগত ইস্যু নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেন সোহম চক্রবর্তী। তিনি বলেন, বাংলায় ঘুরতে আসলে ঘুরতে আসো, সবাইকে স্বাগত। কিন্তু বাংলার প্রতি কুনজরে দিলে খুব খারাপ হয়ে যাবে। 

প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীরতন শুক্লার পদত্যাগ প্রসঙ্গে এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে বৈশালী ডালমিয়া বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস দলের মধ্যে বেশ কিছু নেতিবাচক মনোভাবের মানুষ রয়েছেন। কিছু মানুষ হয়তো এখন নেই, কিন্তু বাকিরা রয়ে গিয়েছেন। তারা বারংবার বিরক্ত করেন। তারা কেউ কেউ কাজ করতে দেন না, কাজ করতে গেলে বাধা সৃষ্টি করেন। বৈশালীর কথায়, অকারনে দলের বিধায়ককে তারা ছোট করতে চান, বিজেপি, সিপিএম বা কংগ্রেসের কেউ এমন আচরণ করেন না। কিন্তু নিজের দলের লোকেরাই বারবার অপমান করেন, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বালির বিধায়ক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *