কলকাতা: ৩০ আসন নয়, ২৬ আসনের লড়াই করবে আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। সূত্রের খবর এমনটাই। কারণ জানা গিয়েছে, বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের সঙ্গে ৩০ আসনের জন্য সমঝোতা হলেও সব আসনে প্রার্থী দিতে পারছে না তারা। স্পষ্ট ভাবে বলতে গেলে, সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতো লোক নেই আব্বাস সিদ্দিকীর দলের! সেই কারণে সমঝোতা হওয়ার পরেও ৪ টি আসন হয়তো তারা ছেড়ে দেবে।
বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের সঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকের দলের জোট হওয়ার প্রথম থেকেই তিন দলের সমঝোতা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। বামফ্রন্ট একের পর এক নিজেদের দুর্গ আব্বাস সিদ্দিকের দলকে ছাড়লেও কংগ্রেস রাজি হয় না। এই প্রেক্ষিতে জোট জট এতটাই গভীর হয়ে যায় যে, ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে পরোক্ষভাবে কংগ্রেস প্রদেশ সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে নিশানা করেন আব্বাস সিদ্দিকী। পরবর্তী ক্ষেত্রে সাংবাদিক বৈঠক করে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে এই ব্যাপারে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে হয়। তবে অবশেষে জানা গিয়েছিল, তিন দলের মধ্যে আসন নিয়ে সমঝোতা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। ঠিক এই সময় এবার জানা গেল, সব আসনে প্রার্থী দিতে পারছে না আইএসএফ। জোট ঘোষণা হওয়ার প্রাথমিক পর্যায় থেকে জানা যাচ্ছিল, সিপিএমের এককালীন দুর্গ নন্দীগ্রামে প্রার্থী দেবে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে সেই সিদ্ধান্ত বদল হয়ে এখন সেখানে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। যদিও নন্দীগ্রামে সিপিএম প্রার্থী নিয়ে এখন বিতর্ক তুঙ্গে, কারণ এই প্রসঙ্গে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে CBI নোটিস, ‘আমি সৎ’, দিলেন প্রতিক্রিয়া!
তিনি বলেন, আগে এই রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে বামপন্থীদের লড়াই হত। পরে বামপন্থীদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের লড়াই হয়েছে। আর এখন সবাই একসঙ্গে জোট বেঁধে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার চেষ্টা করছে। নন্দীগ্রামে সিপিএমের প্রার্থী ঠিক করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে সিপিএম প্রার্থী করেছে ডিওয়াইএফআই সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে।