কলকাতা: নিজের স্কুলেই ভুয়ো নিয়োগ পত্র বানিয়ে ছেলেকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদের এক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তাঁর ছেলে ভুয়ো নথিতে চাকরি পেয়েছেন এবং বেতন সহ সেই চাকরি এতদিন ধরে করছেন বলেই অভিযোগ। এই মামলায় রাজ্যের ডিআইজি সিআইডির নেতৃত্বে টিম গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। কিন্তু সিআইডির সেই টিমের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ তিনি। আজ রাজ্যের ডিআইজি সিআইডিকে সশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
বিচারপতি এদিন জানান, সিআইডির টিমের সদস্যদের নাম সম্পর্কে অন্ধকারে আদালত। দীর্ঘ সময় পেলেও সিআইডির বিশেষ দল তদন্ত শেষ করতে না পারায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন। একই সঙ্গে এই প্রেক্ষিতে তাঁর এও প্রশ্ন, বাবা ছেলের চাকরি চুরি মামলায় রাজ্য কি কাউকে আড়াল করতে চাইছে? বিচারপতির নির্দেশ, কাগজে কলমে তদন্ত করলে চলবে না, সঠিক তদন্ত করতে হবে। সারা রাজ্যে এরকম প্রচুর ঘটনা আছে, আদালত সেটা জানেও। সিআইডি কি জানে না রাজ্যে এমন বেআইনি কাজ হচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সিআইডির বিশেষ দলের প্রত্যেক অফিসারের নাম ও পদ জানতে চান। সাতদিনের মধ্যে এই বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যের কাছে হলফনামা তলবও করেছেন।
প্রসঙ্গত, এক চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ করেছিলেন ওই স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। দাবি ছিল, বাবা প্রধান শিক্ষক হওয়ায় তিনি তাঁকে স্কুলের কর্মশিক্ষার চাকরি পাইয়ে দেন ভুয়ো নথি দ্বারা। ওই জেলার অন্য একটি স্কুলের ভূগোলের শিক্ষকের নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জাল করে ২০১৯ সালে এই চাকরি হয় বলেই অভিযোগ। বিনা নিয়োগপত্রে গত ৩ বছর ধরে বেতনও পাচ্ছেন তিনি।