নয়াদিল্লি: দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কি দেশের বৈধ নাগরিক? হলে, কোন নথির ভিত্তিতে দেশের নাগরিক? এই প্রশ্ন করে আরটিআই করেছেন জয় বাংলা সংসদের সভাপতি প্রণোজিত দে৷ বাংলার যুবকের প্রশ্নে চাঞ্চল্যকর জবাব প্রধানমন্ত্রীর দপ্তররের৷
মোদি-শাহের নাগরিকত্ব দিয়ে প্রশ্ন তোলা প্রণোজিত দে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে, সিএএ ও এনআরসি নিয়ে দেশ উত্তাল৷ দেশের নাগরিক বুঝতে পারছে না, কোন নথিতে তাঁরা প্রমাণিত হবেন, দেশের বৈধ নাগরিক৷ দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোন নথিতে দেশের নাগরিক হয়েছেন, তা দেশবাসী জানলে সুবিধা হবে৷ বুঝতে পারবেন, কোন নথি তাঁদের দিতে হবে৷
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আরটিআইয়ের প্রাপ্তি স্বীকার করা হয়েছে৷ কিন্তু কোনও জবাব দেওয়া হয়নি৷ প্রণোজিত দে জানিয়েছেন, তিনি দু’বার আরটিআই করবেন৷ এরপর তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন৷ তাঁর দাবি, সকলের জানা প্রয়োজন, দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী কীসের ভিত্তিতে দেশের নাগরিক হয়েছেন৷
প্রণোজিত দে, গত ২১ জানুয়ারি বৈধ নাগরিকত্ব সংক্রান্ত ১৩টি আরটিআই করেন ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নামে৷ আরটিআই করা হয় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী থেকে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের নামেও৷ ওই তালিকায় রয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানী, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, সাংসদ দিলীপ ঘোষ ও সাংসদ শান্তনু ঠাকুর৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যপালের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রে তাঁর নিজের দফতরে আরটিআই করা হয়েছে৷
সিএএ নিয়ে উত্তাল হয়ে গিয়েছে দেশ৷ রাজধানীতে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে৷ এই সংঘর্ষের জেরে ইতিমধ্যে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ ১৮৯ জন আহত হয়েছেন৷ আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ দিল্লির হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে৷ আর এই হিংসার মাঝে আরটিআই ঘিরে তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক৷