মহালায়া কি আদৌ ‘শুভ’? কী বলছে সনাতন ধর্মের রীতি?

কলকাতা: আজ মহালয়া৷ চলছে তর্পণ৷ পূর্বপুরুষদের স্মরণ৷ আর এই মহালয়াকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চলছে দেদার শুভেচ্ছা বিনিময়৷ ছড়াছড়ি ‘শুভ মহালয়া’র শুভেচ্ছা৷ আদতে সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে বর্তমানে সবকিছুই যেন ‘শুভ’৷ আর ‘হ্যাপি’তে পরিণত হয়েছে! কিন্তু আদতে মহালয়া কি ‘শুভ’? কী বলছে সনাতন ধর্মের রীতি? সনাতন ধর্ম অনুযায়ী যেকোনও শুভ কাজ করার আগে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে

কলকাতা: আজ মহালয়া৷ চলছে তর্পণ৷ পূর্বপুরুষদের স্মরণ৷ আর এই মহালয়াকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চলছে দেদার শুভেচ্ছা বিনিময়৷ ছড়াছড়ি ‘শুভ মহালয়া’র শুভেচ্ছা৷ আদতে সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে বর্তমানে সবকিছুই যেন ‘শুভ’৷ আর ‘হ্যাপি’তে পরিণত হয়েছে! কিন্তু আদতে মহালয়া কি ‘শুভ’? কী বলছে সনাতন ধর্মের রীতি?

সনাতন ধর্ম অনুযায়ী যেকোনও শুভ কাজ করার আগে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করতে হয়৷ তর্পণ অর্থাৎ খুশি করা৷ রীতি অনুযায়ী পূর্বপুরুষদের খুশি করতে কার্যাদি অঞ্জলি প্রদান করা রীতি রয়েছে৷ ভগবান শ্রীরাম তিনি পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করে ছিলেন লঙ্কাজয়ের আগে৷ সেই অনুযায়ী মহালয়ার তিথি উপলক্ষ্যে যাঁরা পূর্বপুরুষদের সম্মান করে বা তাঁদের আত্মার শান্তি কামনায় তর্পণ করেন, তাঁদের ওপর সুপ্রসন্ন হন পূর্বপুরুষরা৷ আশীর্বাদ করেন৷

মূলত, এই দিনে পূর্বপুরুষদের আত্মার পাঠিয়ে দেওয়া হয় মর্তে৷ এই দিন আত্মার সমাবেশ ঘটে মহালয়ার পিতৃপক্ষের শেষদিনে৷ সনাতন ধর্মে বলা আছে, কোনও নির্দিষ্ট দিন ছাড়া পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে পিন্ডদান করা যায়৷ আর তা করলে খুশি হন তাঁরা৷ তবে এই পিন্ডদান কোনও নির্দিষ্ট রীতি নেই৷ যে কোনদিন পিণ্ডদান করা যায় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে৷ তবে এই মহালয়ে যেহেতু পিতৃপক্ষের শেষ দিন, ফলে পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনায় এই দিনটিকে বেছে নেওয়া গেলে পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ মেলে বলে প্রথা আছে৷

ফলে সনাতন ধর্ম অনুযায়ী যেহেতু মহালয়ার দিন পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে সম্মান জানানো হয় বা তাঁদের আত্মার প্রতি শান্তি কামনা করা হয়, ফলে এই দিনটি যে শুভ হতে পারে না তা মেনে নিচ্ছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷ তবে রীতি যাই থাকুক না কেন, সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুভ মহালয়ার অন্ত নেই৷ তবে এর পিছনে বর্তমান সামাজিক অবস্থানকে দায়ী করছেন অনেকে৷ কেননা, অনেকেই না জেনে ‘শুভ‌’ শব্দটি বসিয়ে জটিল করে তোলেন বিষয়টি৷ মূলত সচেতনতার অভাবেই এই ঘটনা ঘটে চলেছে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *