কলকাতা: রাজ্য সরকার বন্যপ্রাণী শিকার এবং অবৈধ কাঠ পাচার রুখতে নজরদারিতে বনাঞ্চলে গোয়েন্দা নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বড় বনাঞ্চলে তিনজন, মাঝারিতে দুইজন এবং ছোট বনভূমিতে একজন করে গোয়েন্দা নিয়োগ করা হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
উত্তরবঙ্গের তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চল এবং দক্ষিণবঙ্গের সুন্দরবনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গোয়েন্দা নিয়োগ করা হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে গোয়েন্দাদের পরিচয় গোপন রেখে আধিকারিকদের কাছে দ্রুত জঙ্গলের ভিতরে ঘটা অপরাধের ছবি পাঠানোর জন্য তাদের হাতে অত্যাধুনিক মোবাইল ফোন দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। এছাড়াও গোয়েন্দাদের মাসে ২৫ হাজার টাকা করে বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা: বাংলাকে চারটি জোনে ভাগ করে তদন্ত, তৎপর CBI
এদিকে আবার, বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরি মুখী প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ শেষে শিক্ষার্থীদের চাকরি পাওয়া নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকারের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিল্পজগতের চাহিদা মেটাতে পারে এমন সময়পযোগী প্রশিক্ষণ পরিকাঠামো আছে এবং শিল্প জগতের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে এমন সংস্থাকেই এবার প্রশিক্ষণের কাজে নিযুক্ত করা হবে বলে রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার সংস্থা প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে নিযুক্ত আছে। সম্প্রতি পর্যালোচনা করে ওই তালিকা থেকে ৭০ টি সংস্থা কে বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই জায়গায় বণিকসভা গুলির পরামর্শমতো নতুন সংস্থাকে যুক্ত করার কাজ চলছে।ইতিমধ্যেই ৯ টি এই ধরণের সংস্থা রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিয়েছে বলে কারিগরি শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর। যারা প্রশিক্ষণের পাশাপাশি উপযুক্ত প্রার্থীদের জন্য চাকরির সুযোগ দিতে পারবে।