কলকাতা: নারদ মামলায় ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট৷ ২০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে৷ শর্ত সেপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে তিন হেভিওয়েট নেতাকে৷ আপাতত দেশের বাইরে যেতে পারবেন না তাঁরা৷
আরও পড়ুন- ‘তৃণমূল ওঁকে ঝুনঝুনি ছাড়া কিছু দেবে না’, বাবুলকে খোঁচা দিলীপের
মঙ্গলবারা আদালতে হাজিরার পরই তাঁদের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করা হয়৷ এদিন আদালতে শোভনের সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন বৈশাখীও৷ উপস্থিত হন ববি হাকিম এবং মদন মিত্র৷ ১ সেপ্টেম্বর নারদ মামলায় চার্জশিট দেয় ইডি৷ তার পরেই সমন জারি করা হয়৷ এদিন অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর হওয়ার পরেই শোভন বলেন, ‘‘ঈশ্বরের উপর আমাদের বিশ্বাস ও আস্থা আছে। আমাদের আইনের ওপর বিশ্বাস রয়েছে। সিবিআই যেদিন আমাকে নিয়ে গিয়েছিল, সেদিনও আমার পাশে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ছিল। যেদিন ইডি দফতরে গিয়েছিলাম, সেদিনও ছিল, আজও আছেন। এটা আমাদের কাছে এক সংগ্রাম। আমাদের কারোর প্রতি কোনও শত্রুতা নেই। ইশ্বর যে রয়েছেন আজ সেটা সত্য প্রমাণিত।’’ শোভন আরও বলেন, ‘‘যে ব্যক্তির কথা বলা হচ্ছে, তাঁকে আমি কোনও দিন চোখেই দেখিনি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের তো কোনও প্রশ্নই আসছে না।’’ আরও একবার বৈশাখীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শোভন বলেন, ‘‘ও যেভাবে আমার পাশে দাঁড়িয়েছে তাতে আমি ওঁর কাছে কৃতজ্ঞ।’’
এদিন ফিরহাদ-মদন ও শোভন উপস্থিত হলেও আসেননি আইপিএস সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা৷ তিনি অনুপস্থিত থাকায় তাঁর জামিন বাতিলেই দাবি জানায় ইডি৷ ইডি-র তরফে আদালতে বলা হয়, বাকি সকলেই হাজিরা দিয়েছেন৷ তাহলে কেন মির্জা আসবেন না? তাঁর জামিন বাতিল করা হোক৷ অন্তর্বর্তী জামিন আছেন মানেই আদালতে আসবে না এটা হতে পারে না। প্রসঙ্গত,এই মামলায় অপর অভিযুক্ত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবরও এদিন আদালতে জানানো হয়৷