কলকাতা: মৌলালির রামলীলা ময়দানে সর্বভারতীয় মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠনের চতুর্থ সর্বভারতীয় সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশ থেকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে জোটবদ্ধ নারীশক্তিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী মেধা পাটকর। এনআরসি, সিএএ,এনপিআর ইস্যুতে কলকাতার বুকে দিল্লির মতো দ্বিতীয় শাহিনবাগ গড়ে তোলার কথা বলেন তিনি।
এদিন তিনিও বললেন, ‘‘আপনারা ঘোষণা করুন আমরা কোন কাগজ জমা দেবো না। মোদির স্ত্রীর কাছেও বিবাহের সংশাপত্র নেই। মোদি নিজেও ডিগ্রির কাগজ খুঁজে পাননি।’’ এদিন নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুর এর প্রতিবাদী মহিলাদের আন্দোলনের কথা তুলে ধরে বিশিষ্ট এই সমাজকর্মী বলেন, ‘‘নারীশক্তি যখন আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন তখন সেই আন্দোলনে নতুন আলো লাগে।’’ নারী শক্তির অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা শ্লোগান তুলুন, জাতি ও ধর্ম নিয়ে গুণ্ডামী চলবে না। আপনারা এত জোরে শ্লোগান তুলুন যাতে তা কাল শুনানির সময় সুপ্রিমকোর্টে পৌঁছে যায়।’’
এদিন সভায় উপস্থিত এসইউসিআই(সি) দলের পলিটব্যুরো সদস্য সৌমেন বসু সভামঞ্চ থেকে নারিশক্তির পক্ষেই সোচ্চার হন৷ তিনি বলেন, ‘‘যতদিন পুঁজিবাদ থাকবে ততদিন এই বিভাজন থাকবে।’’ বিজেপির ধর্মের ভিত্তিতে সমাজকে বিভক্ত করার নীতির বিরুদ্ধে নারী শক্তিকেই তে চাইছে। অন্যদিকে কংগ্রেস নরম হিন্দুত্বের আড়ালে একই কাজ করছে।” তিনি বলেন, “যতদিন পুঁজিবাদ থাকবে ততদিন এই বিভাজন থাকবে।” সভায় এন আর সি, সি এ এ, এন পি আর-এর বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব নেওয়া হয়। এদিনের সভায় অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের এক প্রতিনিধি সীমা সরকার।
মঙ্গলবারের এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন ২২টি রাজ্যের প্রতিনিধিরা। ধর্মতলায় লেনিনের ৯৬ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁর মূর্তিতে মাল্যদানের পর একটি বর্ণাঢ্য পদযাত্রা করে মৌলালির রামলীলা ময়দানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভানেত্রী ছায়া মুখার্জি। আগামী ২২-২৩ জানুয়ারি হাওড়ার শরত সদনে সম্মেলনের প্রতিনিধি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে৷