ক্যানিং: কাকদ্বীপ ও কুলপি থানার সংযোগ স্থলে নদীর নিকটবর্তী দুটি গ্রাম বহুস্মহল ও বসমনখালি। এই দুই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষের জীবিকা নদী৷ যোগাযোগ ব্যবস্থাও তেমন উন্নত নয়। ফলত অতি দরিদ্র এই দুই গ্রামের মানুষ অসহায়ের মতোই দিন কাটান৷ এবার ওই দু’গ্রামের বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়াল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা৷
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘পরশে’র উদ্যোগে ২০০ গ্রামবাসীকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। কিন্তু ‘পরশে’র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা শুধুমাত্র মানুষকে সাহায্য করেই থেমে থাকতে চান না, তাদের উদ্দেশ্য এই সব মানুষগুলিকে স্বাবলম্বী করে তোলা। তাই তারা সেখানে কেরিয়ার কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে তাদের কীভাবে অর্থনৈতিকভাবে সুদৃঢ় করা যায় তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷
মূলত উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কম পরিমাণ জমিতে বেশি ফলন বা ওই জমিতে লাভজনক কিছু চাষ করা যায় কিনা, ছোটো বড় জলাশয়ে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে মাছচাষ বা মাছের ডিম ফুটিয়ে চারা মাছের ব্যবসা করা যায় কি না, ছোটো বড় জলাশয়ে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে মাছচাষ বা মাছের ডিম ফুটিয়ে চারা মাছের ব্যবসা করা যায় কি না, কিংবা ছোটো বড় জলাশয়ে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে মাছচাষ বা মাছের ডিম ফুটিয়ে চারা মাছের ব্যবসা করা যায় কি না, সেই সব বিষয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে তারা কথা বলে বিকল্প জীবিকার সম্ভবনা খোঁজার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতেও তাঁদের ইচ্ছা ও ক্ষমতা অনুযায়ী ‘পরশ’ এই মানুষগুলির পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের স্বাবলম্বী করে তোলার চেষ্টা করবে৷
বর্ষবরণের রাতেও সোনারপুর, বিদ্যাধরপুর,সুভাষগ্রাম স্টেশন চত্বরের দুঃস্থ ও ভবঘুরে মানুষদের শীত নিবারণের জন্য কম্বল বিতরনের মধ্যে দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে পরশ। এই কাজ চলা কালীন সোনারপুর দেশবন্ধু পার্ক অঞ্চলে পরশ একজন শীতার্ত মহিলাকে মুমূর্ষ অবস্থায় দেখতে পায়, সঙ্গে সঙ্গে সোনারপুর থানাকে জানানো হলে সেই সময় ডিউটি অফিসার উত্তম দাস, মহিলা কনস্টেবল-সহ তার টিম নিয়ে তৎক্ষণাৎ পৌঁছান। পরশের সঙ্গে উত্তমবাবু যৌথ ভাবে করোনাকে উপেক্ষা করে প্রায় বুকে তুলে মৃতপ্রায় ব্যাক্তিকে সুভাষগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সঠিক সময় চিকিৎসা পাওয়ায় তিনি এখন স্থিতিশীল। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে যখন অমানবিকতার নজিরে দেখা গিয়েছে, সেই সময় পরশ এবং সোনারপুর থানার পুলিশ এক মানবিকতার দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন৷