কলকাতা: সোম সকাল থেকেই কলকাতার বুকে ৪৬টি পুরবাজার সহ মোটামুটি সব বাজারই খুলে গিয়েছে। খুলেছে বাজারের বাইরের দোকানও। কিন্তু কলকাতা পুরনিগমের কাছে তথ্য এসেছে যে শহরে মারণ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে এই বাজারগুলি। সেই বাজার থেকেই মারণ ভাইরাস পাড়ি জমাচ্ছে নানা এলাকায়, বাড়িতে, আবাসনে।
এবার এই বাজারগুলি থেকেই কোনভাবে সংক্রমণ ঠেকিয়ে দেওয়া গেলেই কলকাতা অনেকটাই করোনা মুক্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর ঠিক সেই কারনেই রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে এবার এই বাজারগুলিকেও নিয়মিত স্যানিটাইজড করানোর পাশাপাশি বাজারে আসা সকল ক্রেতা ও বিক্রেতাকে হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন ওষুধ খাওয়ানো হবে। সেই সঙ্গে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সকলের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
জানা গিয়েছে, এদিন থেকেই কলকাতার বাজারগুলিতে এই নিয়মিত স্যানিটাইজড করার কাজ যেমন শুরু হয়ে যাবে ঠিক তেমনি নমুনা সংগ্রহ করা ও ওষুধ খাওয়ানোর কাজও এদিন থেকেই শুরু হয়ে যাবে। পুরনিগমের বক্তব্য, বেলগাছিয়া, রাজাবাজার, খিদিরপুরের মতো এলাকায় যেভাবে নিয়মিত স্প্রে করে, বাসিন্দাদের হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন খাইয়ে সংক্রমণ রোখা গিয়েছে ঠিক সেই পদ্ধতিতেই বাজারগুলিতেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া পুরোপুরি রুখে দেওয়া যাবে। তবে এখন শহরের নিম্নবিত্ত মানুষেরা যতনা আক্রান্ত হচ্ছেন তার থেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন উচ্চ মধ্যমিত্ত ও উচ্চবিত্তরা। আর তা ঠেকাতেই কলকাতার সমস্ত বড় বড় বাজারগুলিতে এদিন থেকেই বিশেষ অভিযান শুরু হবে। জীবাণুনাশক স্প্রে করার পাশাপাশি ক্রেতা-বিক্রেতাদের নমুনাও সংগ্রহ করা হবে পরীক্ষার জন্য।
কলকাতা পুরনিগমের তরফে অ্যাম্বুল্যান্স ঘুরে ঘুরে বাজারগুলি থেকে সকলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করবে। এছাড়া সকলে মুখে মাস্ক পরছেন কি না, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন কি না, তাও নজরে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। পুরনিগমের অধীনে থাকা ৪৬টি পুরবাজার খুলে গেলেও সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চলছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব আর পুরনিগম নিচ্ছে না। সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাজার কমিটিগুলিকে। তাঁরাই নিয়মিত স্যানিটাইজ করা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা, নজরদারির কাজ করার দায়িত্ব নিচ্ছে। যদিও দেখা যায়, এতকিছু করেও বাজার এলাকাগুলোয় সংক্রমণ বাড়ছে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বাজার বন্ধ করে দেওয়া হবে।