বাঁকুড়া: বালি চুরি কাণ্ডে তৎপর প্রশাসন৷ শুক্রবারের পর ফের শনিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে সাতটি ওভারলোডেড বালি বোঝাই লরি আটক করল প্রশাসন। শনিবার রাতে বাঁকুড়া জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ারের নেতৃত্বে মহকুমা শাসক অনুপ কুমার দত্তের উপস্থিতিতে বিষ্ণুপুর মহকুমার বিভিন্ন অংশে এই অভিযান চালানো হয়।
প্রশাসন সূত্রের খবর: এদিনের এই অভিযানে সোনামুখীর পখন্না, রাঙামাটি থেকে তিনটি ও বিষ্ণুপুরের অযোধ্যা, ভগৎ সিং মোড় ও বাঁকাদহ থেকে আরও চারটি লরি আটক করা হয়েছে৷ রবিবার সকালে এই খবর জানিয়ে জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার বলেন, ‘‘১ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে। তার মাঝেই এই অভিযান চালানো হয়। ওভার লোডেড বালি নিয়ে যাতায়াতকারী লরিগুলি আটক করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’ একই সঙ্গে যে ঘাটগুলি থেকে এই বালি নিয়ে আসা হচ্ছিল সেগুলির বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এর আগে শুক্রবার রাতভরও অভিযান চালায় প্রশাসন৷ কোতুলপুর সাম্রঘাট ও বাঁকুড়া-হুগলি সীমান্ত থেকে ছ’টি ‘ওভারলোডে’ বালি বোঝাই লরি আটক করে প্রশাসন৷ নবান্নের নির্দেশে জেলায় জেলায় বালি-চুরির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অভিযান শুরু হওয়ায় খুশি বাসিন্দারা৷ কারণ, তাঁরা বলছেন, বালি-চুরি করে যে লরিতে করে বালি পাচার করা হত, সেগুলি সার দিয়ে জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকত। ফলে ছোটো গাড়ী বা বাস বা পণ্যবাহী ট্রাক গুলো যাতায়াত এর অসুবিধের মুখে পড়ত৷ এমনকি বেআইনি বালি বোঝাই লরির দাপটে একাধিকবার দুর্ঘটনাও ঘটেছে৷ অপরিকল্পিতভাবে নদী থেকে বালি উত্তোলনের জেরে বদলে যাচ্ছে নদরী অভিমুখ৷ গতিপথ বদলাচ্ছে নদী৷ বাড়ছে ভাঙন৷ শুধু পূর্ব মেদিনীপুর বা বাঁকুড়া নয়, অভিযান শুরু হয়েছে পশ্চিন বর্ধমানেও৷ ইতিমধ্যে সেখানে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে সজল কর ওরফে কেবু নামে এক বালি-মাফিয়াও৷ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এই অভিযান ধারাবাহিক ভাবে চলবে৷