কলকাতা: শেষ আরও ২২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে রাজ্যে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল ১৬২। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত রাজ্যের কোনও প্রান্ত থেকেই মৃত্যুর খবর আসেনি। ফলে, মৃতের সংখ্যা একই আছে। ডিসচার্জ করা হয়েছে আরও ৪ জনকে। শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা এদিন বলেন, যে সব জায়গয় সংক্রমণের প্রবণতা বেশি, সেই জায়গায় আরও বেশি নজর দিতে হবে। তাঁর কথায়, হাওড়া ও উত্তর কলকাতা এই দু’ জায়গায় থেকে রিপোর্ট বেশি আসছে। এই দুই এলাকায় কড়া হাতে লকডাউন করতে হবে। মেলামেশা বন্ধ করতেই হবে। হাওড়া ও কলকাতা আগামী ১৪ দিনের মধ্যে অরেঞ্জ জোনে নিয়ে আসতে হবে।” নবান্নের নজরে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনাও এই জেলার ব্যাপারে বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি।
বলেন, “ডেঙ্গুও শুরু হয় উত্তর ২৪ পরগনাতেই। করোনাতেও এটি রেড জোন হয়ে গেছে। আরও আগ্রাসী ভাবে কাজ করতে হবে সকলকে, প্রয়োজনে ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। ১৪ দিনের মধ্যে একে গ্রিন জোনে আনতে হবে।” একই কথা মেদিনীপুর সম্পর্কেও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। হুগলির জেলাশাসককেও ওই জেলা নিয়ে বিশেষ নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সতর্ক করেন মালদহ ও মুর্শিদাবাদ নিয়েও।