কলকাতা পুর-নিগমে করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধির হার ২০০ শতাংশের বেশি!

কলকাতা পুর-নিগমে করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধির হার ২০০ শতাংশের বেশি!

34f9ad8553d7473ac207af05502d474d

কলকাতা: চিন্তা বাড়িয়ে দিল কলকাতা পুর নিগমের ১৫ নম্বর বরো। এই বরোতে সংক্রমণ প্রবন এলাকা বৃদ্ধির হার ২০০ শতাংশের বেশি। রাজ্য সংক্রমিত ৫১৬টি এলাকার মধ্যে ৩১৮টি এলাকাই কলকাতার অন্তর্গত। কলকাতা পুর নিগমের অন্তর্গত ৭, ৫,৪,৬ নম্বর বরোগুলিতে সংক্রমনের হার বেশি ছিল। যে তিনটে এলাকা রেড জোনের তালিকায় শীর্ষে ছিল অর্থাৎ ৭, ৫,৪ নম্বর বরো সেখানে ১০০ শতাংশের বেশি হারে সংক্রমিত এলাকা বা রাস্তার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই এলাকাগুলিতে ৭ নম্বর বরোতে ১২৬ শতাংশ, ৫ নম্বর বরোতে ১১৩ শতাংশ এবং ৪ নম্বর বরোতে ১৩৪ শতাংশ সংক্রমিত রাস্তার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

সম্প্রতি দেখা গেল সাত নম্বর বরো এলাকায় সংক্রমিত রাস্তার সংখ্যা বেড়েছে আরও বেশি। প্রথম থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিল এই ৭ নম্বর বরো। ওই এলাকায় এতদিন ৪১ টি সংক্রমিত লেন ছিল। সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ তে। অন্যদিকে আগের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ৫ নম্বর বরোতে সংক্রমিত লেনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ থেকে ৩৩। এদিকে তৃতীয় স্থানে থাকা ৪ নম্বর বরোতেও সংক্রমিত রাস্তা বা এলাকার সংখ্যা এক ধাক্কায় ৯টি বেড়ে গিয়েছে। সুতরাং এখানে সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৬ থেকে ৩৫। এদিকে কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে ছয় নম্বর বরো এলাকায় এক সপ্তাহে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সংক্রমিত রাস্তার সংখ্যা। আগে সেখানে সংক্রমনের এলাকা ছিল ১৯ টি। সেটা বেড়ে হয়েছে ৩৮ টি।এখানে সংক্রমিত রাস্তার বৃদ্ধির হার ২০০ শতাংশ। ১৫ নম্বর বরোতে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে সংক্রমিত রাস্তা।সেখানে ১১ টি সংক্রমিত এলাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৪ টি। এই এলাকায় বৃদ্ধির হার ২১৮ শতাংশ।তবে সেই তুলনায় ১, ৩, ৮,৯,১০, ১১,১২,১৩,১৪ এবং ১৬ নম্বর বরোতে সংক্রমিত হওয়ার মাত্রা কিছুটা কম। একমাত্র ১৩ নম্বর এবং ১৬ নম্বর বরোতে সংক্রমিত এলাকার বৃদ্ধির হার শূন্য। গত সপ্তাহে অবশ্য তালিকায় সব থেকে ভাল ছিল ১৪ নম্বর বরো। মাত্র একটি সংক্রমিত এলাকা ছিল। সেখানে এবার আরও একটি সংক্রমিত এলাকা ধরা পড়েছে ।

অন্যদিকে, ওয়ার্ড ভিত্তিক সংক্রমিত এলাকার সংখ্যাও বাড়ছে ক্রমশ। সপ্তাহে যেখানে ৪৭ টি ওয়ার্ড সংক্রমণ প্রবন তালিকার বাইরে ছিল। সেখানে এক সপ্তাহে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪- ৩৫টি। ওয়ার্ডের হিসাবে রেড জোনের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ৬৬ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে সংক্রমিত এলাকার সংখ্যা এক সপ্তাহে ১০ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪। তার পরেই রয়েছে ৬০ ওয়ার্ড, যদিও সেখানে সংক্রমিত এলাকার সংখ্যা বাড়েনি। এছাড়াও গত সপ্তাহের তালিকায় পাঁচটি করে রেড জোন এলাকা রয়েছে এমন তালিকায় থাকা ২৪, ৪৪, ৪৮ এবং ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড গুলি যেমন ছিল তেমনই রয়েছে। কিন্তু সংক্রমনের সংখ্যা বেড়েছে ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *