কলকাতা: একে রাজ্যজুড়ে করোনার দাপট৷ তার উপর চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় যশ৷ গতবছর বঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়েছিল অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান৷ সেই ক্ষত এখনও মেলায়নি৷ আম্পানের স্মৃতি রাজ্যবাসীর মনে আজও টাটকা৷ তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, আম্পানের চেয়েও ভয়ঙ্কর এক ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল কলকাতায়৷ যার নাম ছিল ক্যালকাটা সাইক্লোন৷ সেই ঝড়ের ধ্বংসলীলা কিছু কম ছিল না৷
আরও পড়ুন- ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জরুরি বৈঠক নবান্নে, জনপ্রতিনিধিদের কড়া নির্দেশ!
ভয়াবহ ওই ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল ১৭৩৭ সালে৷ রিপোর্ট বলছে, ক্যালকাটা সাইক্লোনের দাপটে গঙ্গা বক্ষে কয়েক হাজার জাহাজ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল৷ মৃত্যু হয়েছিল ৩ হাজার মানুষের৷ তবে অনেকেই বলেন, ক্যালকাটা সাইক্লোনে মৃত্যুর সংখ্যাটা ছিল আরও অনেক বেশি৷ আর পরিস্থিতি স্বাভাবিত হতে লেগে গিয়েছিল কয়েক বছর৷ এর পর আরও এক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় হয় ১৮৬৪ সালে৷ ইতিহাসের পাতায় এটিও ক্যালকাটা সাইক্লোন নামে পরিচিত৷ শোনা যায়, এই ঝড়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ৷ এর পরেও বাংলার বুক দিয়ে বহু ঝড় হয়ে গিয়েছে৷ এক মধ্যে অন্যতম হল আয়লা, লায়লা, বুলবুল, ফণী ইত্যাদি৷ যারা লন্ডভন্ড করেছে বাংলাকে৷ বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণবঙ্গ৷ ভেঙেছে একের পর এক কাঁচা বাড়ি৷ নষ্ট হয়ে গিয়েছে খেতের পর খেত ফসল৷ চালচুলো হারিয়ে ত্রাণ শিবিরে ঠাঁই হয়েছে বহু মানুষের৷
আরও পড়ুন- ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়, নবান্নে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক
সাম্প্রতিককালে বাংলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সবচেয়ে বড় দুর্যোগের নাম আম্পান৷ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, আম্পানে মৃত্যু হয়েছে ১২৮ জনের৷ কয়েক হাজার সম্পত্তি নষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ আম্পানের প্রভাব পড়েছিল ওডিশা ও অসমের উপরেও৷ তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পশ্চিম বাংলা৷ আম্পানের সেই স্মৃতি ফিকে হওয়ার আগেই এবার দোড়গোড়ায় কড়া নাড়ছে ‘যশ’৷