কলকাতা: ইন্দোনেশিয়ায় সুনামিতে নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ট্যুইটবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, ইন্দোনেশিয়ার ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত৷ নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই৷ তাঁদের পরিবার-পরিজনদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল৷ এই কঠিন সময়ে আমরা সকলেই ইন্দোনেশিয়ার পাশে রয়েছি৷
ইন্দোনেশিয়ার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর সূত্রের খবর, সুন্দা প্রণালীতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সব থেকে বেশি। মুহুর্মুহু মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বহু বাসিন্দা এখনও নিখোঁজ তাঁদের খোঁজে জোরকদমে শুরু হযেছে তল্লাশি। বিপর্যয় সামাল দিতে দেশের পুলিশ প্রশাসন একযোগে কাজ করছে।
সুনামির দাপটে পুরোপুরি বদলে গিয়েছে রাজধানী জাভার ভৌগোলিক চেহারা। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জাভার পশ্চিমাংশ ও দক্ষিণ সুমাত্রা। সাজানো রাজধানী প্রায় ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে। রাস্তাঘাটের পাশাপাশি ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে অসংখ্য বহুতলও। বিশ্বের বিপর্যয় মূলক অঞ্চল হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার বেশ খ্যাতি রয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরের রিং অফ ফায়ারে থাকা দেশ ইন্দোনেশিয়ায় জীবন্ত আগ্নেয়গিরির সংখ্যা কম নেই। এগুলির মধ্যে সবথেকে ভয়াবহ আনাক ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরি। সেখানে একবার অগ্ন্যুৎপাত শুরু হলে তার আঁচ প্রবলভাবে পড়ে ইন্দোনেশিয়ার উপরে তাই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আঘাতে বিধ্বস্ত হওয়া এই দেশের জন্য নতুন কিছু নয়।
জানা গিয়েছে, এই ডিসেম্বরেই ফের ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। তারই ফলশ্রুতি এই ভয়াবহ সুনামি। এককথায় এই বিপর্যয় ১৪ বছর আগে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ সুনামিকে মনে করাল। যার রেশ আছড়ে পড়েছিল ভারতীয় উপমহাদেশের সমুদ্র উপকূলেও সেই তালিকায় ছিল শ্রীলংকার নামও। সেই ভয়াবহ স্মৃতি উসকে দিয়েছে এই শনিবারের সুনামি। ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সময় অনুযায়ী শনিবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ সুনামি হানা দেয় জাভা ও সুমাত্রার বিস্তীর্ণ অংশে। প্রথম দাপটেই সাজানো শহর ধ্বংসস্তূপের চেহারা নেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু আনাক ক্রাকাতোয়ার অগ্ন্যুৎপাত নয়, সমুদ্রের তলদেশেও তৈরি হয়েছিল আলোড়ন। আর সেই কম্পনের ফলেই সুনামি। সুন্দা উপকূলে আছড়ে পড়েছে বড় বড় ঢেউ। তবে এই বিপর্যয়ের সঠিক কারণ অনুসন্ধানে নেমেছেন ইন্দোনেশিয়ার জিওলজিক্যাল সার্ভের গবেষকরা।