নয়াদিল্লি: ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে আক্রান্ত হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই নিরাপত্তা বাড়ানো হল বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয় বর্গীর। বর্তমানে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান এই বিজেপি নেতা। তার সঙ্গে সঙ্গে এবার থেকে তাঁকে বুলেটপ্রুফ গাড়ি দেওয়া হবে।
ঘটনার সূত্রপাত গত সপ্তাহে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপিন নাড্ডার রাজ্য সফরকে কেন্দ্র করে। নিউ টাউন থেকে ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে শিরাকোল এলাকায় বিজেপি সভাপতির কনভয় হামলা চালানো হয়। যদিও বুলেটপ্রুফ গাড়ি তে থাকায় আক্রান্ত হননি বিজেপি সভাপতি। তবে আহত হন রাজ্যের অপর দুই নেতা কৈলাশ বিজয় বর্গী এবং মুকুল রায়। দুষ্কৃতীদের ইট এবং পাথরের আঘাতে আঙুলে চোট পান দুই নেতা। বিজেপি সভাপতির কনভয় হামলার ঘটনা যে সহজভাবে নেওয়া হচ্ছে না রাতেই তার স্পষ্ট করে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷
পরদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এর পাঠানো রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়৷ ১৪ ডিসেম্বর দিল্লিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় উপস্থিত থাকতে বলে রাজ্যকে চিঠি পাঠান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা। যদিও রাজ্যের তরফে পাল্টা চিঠিতে জানিয়ে দেয়া হয়, যেহেতু বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার বিস্তারিত তদন্ত করেছে এবং কয়েকটি মামলা রুজু করা হয়েছে ফলে দিল্লি যাওয়া থেকে তাঁদের অব্যহতি দেওয়া হোক৷ একইসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ তথা লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, রাজ্যের দুই আইপিএস অফিসারকে ডেকে পাঠানো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পরদিনই বিজেপি সভাপতির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তিন পুলিশ আধিকারিককে দিল্লিতে ডেপুটেশনের কাজ করার নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়৷ পুরো বিষয়টি নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সংসদ চরমে ওঠে। এর পরেই আজ কৈলাস বিজয়বর্গীর নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানানো হয়৷ তবে, ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে মুকুল রায় আক্রান্ত হলেও তাঁর জন্য কোনও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়নি৷