কলকাতা: বিভিন্ন বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন আপাতত লকডাউনের আগের ভাড়াতে বাস নামাতে সম্মত হওয়ার ফলে বৃহস্পতিবার থেকে শহরের রাস্তায় বেশি বাসের দেখা মিলবে বলে আশা করেছিলেন সাধারণ মানুষ৷ প্রত্যাশা মাফিক না হলেও আগের তুলনায় শহরের রাস্তায় কিছুটা বেড়েছে বেসরকারি বাস৷ কিন্তু অধিকাংশ রুটের বাসেই আগের থেকে বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে৷ কোন কোন বাস ও মিনিবাসে আগের থেকে দ্বিগুণ হারে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ৷ সরকার ও বাস মালিক সংগঠন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে বলেও অভিযোগ৷
কোন কোন বাসে উঠলে দিতে হচ্ছে ১০ টাকা আবার কোথাও ১২টাকা৷ যাত্রীদের দেওয়া হচ্ছে না টিকিট৷ কোন কোন বাসে রীতিমতো কোভিড স্পেশাল ফেয়ার বলে নোটিশ ঝুলিয়ে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে৷শহরের বিভিন্ন এলাকায় বেসরকারি বাসের বিরুদ্ধে যাত্রীদের এরকম নানা অভিয়োগ কানে এসেছে৷ যদিও গত সোমবার রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকের পরে বাস মালিকেরা জানিয়েছিলেন ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য গঠিত রেগুলেটরি কমিটি তাদের সুপারিশ না পেশ করা পর্যন্ত পুরানো ভাড়ায় রাস্তায় বাস নামাবেন৷ কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল উলটপূরাণ৷
যাত্রীদের অভিযোগ, কলকাতা ও আশেপাশের জেলায় বাসে উঠলে ন্যূনতম ১০ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে৷ মিনিবাসে উঠলেই গুনতে হচ্ছে কমপক্ষে ১২ টাকা ভাড়া। যদিও লকডাউনের আগের হারে ভাড়া নূন্যতম ৭ টাকা ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে ৮ হওয়ার কথা৷ বাড়তি ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে কোথাও কন্ড্রাক্টরদের বিবাদ বাঁধছে৷ কেউ কেউ আবার ভোগান্তির কথা ভেবে মুখ বুজে বাড়িতি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করছেন৷ অথচ যাত্রীদের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ভিন্ন৷ আর সবকিছু জেনেও চুপ করে রয়েছে বাস মালিকদের সংগঠন৷ তাঁরা এতে মদত দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছে৷
যাত্রীরা জানিয়েছেন, বাসের ক্ষেত্রে উঠলে যেমন ১০টাকা দিতে হচ্ছে, তেমনি তার পরের স্টেজগুলিতে দিতে হচ্ছে ১২ টাকা, ১৫ টাকা, ১৮ টাকা ও ২০ টাকা। অথচ কোন স্টেজ কোথা থেকে কতটা তার কোনও চার্টও নেই৷ মিনিবাসের ক্ষেত্রে উঠলে দিতে হচ্ছে ১২টাকা৷ পরের স্টেজগুলিতে নেওয়া হচ্ছে ১৫ টাকা, ২০ টাকা, ২৫ টাকা। তাঁদের কাছেও থাকছে না কোনও চার্ট৷ সব থেকে বড় কথা অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিলছে না টিকিট৷
আর তা নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে কন্ড্রাক্টরদের বিবাদ যেমন বাঁধছে ঠিক তেমনি বেশ কিছু যাত্রী ভোগান্তির কথা ভেবে মুখ বুজে তা দিতে বাধ্য হচ্ছেন৷ সব দেখেশুনে তাঁরা নিজেরাই জানাচ্ছেন, করোনার সুবিধা নিয়ে কার্যত গলাকাটা দরে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বেসরকারি বাস ও মিনিবাসে৷ ভাড়া নেওয়ার নামে কার্যত লুঠ চলছে৷ এই নিয়ে দফতরের কর্তারাও খোঁজ নিচ্ছেন৷ তাঁরা জানিয়েছেন, এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে ছাড়া হবে না৷ কারণ, সরকারের নিয়মভঙ্গ করে বেআইনিভাবে এই কাজ করা হচ্ছে৷ কিন্তু তপনবাবু জানিয়েছেন, যাত্রীরা নাকি বেশি ভাড়া দিচ্ছেন৷ চালক-কনডাক্টটরদের বলা হয়েছে অতিরিক্ত ভাড়া না নিতে৷ যদি এরকম কিছু হয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷