কলকাতা: করোনা আবহে নেওয়া হয়নি মিটার রিডিং৷ দীর্ঘ তিন মাস ধরে সেই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকার পর গ্রাহকদের ধীরে ধীরে পৌঁছতে শুরু করেছে বিদ্যুতের বিল৷ আর এই বিল দেখে কার্যত মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার অবস্থা সাধারণ মধ্যবিত্ত জনতার৷ বর্ধিত বিদ্যুতের বিল নিয়ে যখন জেরবার সাধারণ মানুষ, ঠিক তখন খোদ বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে এল মোটা অংকের বিদ্যুতের বিল৷ যা দেখে স্তম্ভিত রাজ্যের মন্ত্রী৷ মন্ত্রীর নামে বর্ধিত বিদ্যুৎ বিল নিয়ে শুরু হয়েছে নয়া চর্চা৷
দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি, রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বিদ্যুতের বিল এসেছে ১১ হাজার টাকা৷ একই অভিযোগ তুলেছেন অন্যান্য গ্রাহকরাও৷ খাস মন্ত্রীর বাড়িতে বিদ্যুতের বিল ১১ হাজার টাকা ধরানোকে কেন্দ্র করে নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ মন্ত্রীর বাড়িতে যদি ১১ হাজারি বিল আসে, তাহলে সাধারণ মধ্যবিত্ত জনতারকে কত টাকা বিদ্যুতের মাশুল গুনতে হবে? কূলকিনারা পাচ্ছেন না সাধারণ মধ্যবিত্ত জনতা৷
বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, জুন মাসের বিদ্যুতের যে বিল এসেছে তা অতিরিক্ত৷ তাঁর ৭ হাজারের মতো মাসে বিদ্যুতের বিল আসে৷ কিন্তু তা এক ধাক্কায় ১১ হাজার টাকা হয়ে গিয়েছে৷ মন্ত্রী ও তার ছেলের নামে দুটি মিটার রয়েছেন৷ দু’ক্ষেত্রে বর্ধিত বিল দেখে চমকে উঠেছেন মন্ত্রীপরিবারের সদস্যরা৷ গোটা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি সিএসসির আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ বর্ধিত নিয়ে সাধারণ জনতার মধ্যে যাতে বিভ্রান্তি তৈরি না হয়, তাও নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী৷
সিএসসির যুক্তি, যেহেতু সাধারণ মানুষের গড় বিল পাঠানো হচ্ছে, এভারেজ বিল পাঠাতে গিয়ে কোথায় কোথায় বেশি বিল চলে যাচ্ছে৷ যদি বিল বেশ আসে, তাহলে তা পরিবর্তী বিলে কমিয়ে দেওয়া হবে৷ কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, লকডাউনের কারণে সাধারণ মানুষের যখন আয় কমেছে, কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ, পেটের দায়ে পেশা বদল করতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ জনতা, তখন মহামারীর সুযোগ নিয়ে বর্ধিত বিল পাঠানোর কী কোনও যুক্তি আছে? জেরবার সাধারণ জনতা৷