কলকাতা: বৃত্তিমূলক শিক্ষক-প্রশিক্ষকরা ৬০ বছর বয়সের পর আর পড়াতে পারবেন না। সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করে কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সংসদ জানিয়েছে, স্থায়ী বা অস্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক কোনও শিক্ষক বা প্রশিক্ষকের ৬০ বছর বয়স হয়ে গেলে তিনি আর পড়াতে পারবেন না। অত্যন্ত সামান্য বেতনে কাজ করেন শিক্ষক-প্রশিক্ষকরা। তার উপর অপ্রতুল সংখ্যক শিক্ষক ও প্রশিক্ষক দিয়ে চলছে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি। সব মিলিয়ে নির্দেশিকাকে ঘিরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে বৃত্তিমূলকের শিক্ষক মহলে। ক্ষোভ ছড়ানোর অন্যতম কারণ, এই রাজ্য সরকারই কলেজ শিক্ষকদের অবসরের বয়স বাড়িয়ে করেছে ৬৫ বছর, যাঁরা বৃত্তিমূলকের শিক্ষক-প্রশিক্ষকদের তুলনায় বিপুল বেশি বেতন পান। নিখিলবঙ্গ বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষক সমিতির রাজ্য সম্পাদক শুভাশিস ব্যানার্জি জানিয়েছেন, নিয়োগ না করে এভাবে ছাঁটাই করলে প্রায় ২১০০ জন শিক্ষক প্রশিক্ষক কাজ হারাবেন। ২০১১ সাল থেকেই বৃত্তিমূলক শিক্ষাকেন্দ্রে নিয়োগ বন্ধ করেছে সরকার। এই নির্দেশিকার ফলে যেমন অনেকে কাজ হারাবেন, তেমনই বৃত্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থাও আরও সঙ্কটের মুখে পড়বে। তিনি আরও বলেন, সাত বছর পর বৃত্তিমূলক শিক্ষক-প্রশিক্ষকদের মাত্র ১০ টাকা বেতন বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। বর্তমানে একজন বৃত্তিমূলক অস্থায়ী শিক্ষক ক্লাস পিছু পেয়ে থাকেন ১৬০ টাকা এবং প্রশিক্ষক ক্লাস পিছু পান ১০০ টাকা। মাসে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক পান ৯০০০ টাকা এবং প্রশিক্ষক পান ৭০০০ টাকা। তিনি জানান, এভাবে শিক্ষক-প্রশিক্ষকদের তীব্র আর্থিক সঙ্কটের মুখে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা এবং চাকরিমুখী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে শুকিয়ে ফেলার প্রয়াসের তীব্র বিরোধিতা করছে নিখিলবঙ্গ বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষক সমিতি।
বৃত্তিমূলক শিক্ষকতায় সরকারি নির্দেশে বাড়ছে ক্ষোভ
কলকাতা: বৃত্তিমূলক শিক্ষক-প্রশিক্ষকরা ৬০ বছর বয়সের পর আর পড়াতে পারবেন না। সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করে কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সংসদ জানিয়েছে, স্থায়ী বা অস্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক কোনও শিক্ষক বা প্রশিক্ষকের ৬০ বছর বয়স হয়ে গেলে তিনি আর পড়াতে পারবেন না। অত্যন্ত সামান্য বেতনে কাজ করেন শিক্ষক-প্রশিক্ষকরা। তার উপর অপ্রতুল সংখ্যক শিক্ষক ও প্রশিক্ষক দিয়ে