নদিয়া: মাকে ভালো ডাক্তার দেখানোর নাম করে নবদ্বীপ ধাম স্টেশনে ফেলে গেল একমাত্র গুণধর ছেলে। এরপর ওই বৃদ্ধাকে এক টোটোচালক নিয়ে আসেন নবদ্বীপ চটির মাঠের গৌর গোপীনাথ মন্দিরে। পরে সেখান থেকে অসুস্থ বৃদ্ধাকে স্থানীয় লোকজন নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করেন। হাসপাতালের বেড়ে বসে ওই বৃদ্ধা তার নাম বলেন রেখা দাস(৫৯)। বাড়ি চাকদহ থানার ন'পাড়া রাঙামাটি গ্রামে।
ওই বৃদ্ধা জানান দীর্ঘদিন ধরে তিনি শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার একমাত্র ছেলে সোমনাথ দাস তাকে কলকাতা চিকিৎসা করার নাম করে তাকে নবদ্বীপ ধামস্টেশনে ফেলে রেখে চলে যায়। এরপর ওই বৃদ্ধাকে একা দেখতে পেয়ে এক টোটো চালক তাকে নিয়ে যান ওই মন্দিরে। সেখানে তিনি খুব অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন বুধবার দুপুরে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালের বিছানায় বসে রেখাদেবী জানান ছেলের যখন দেড় বছর বয়স তখন তার স্বামী মারা যান। ওই ছেলেকে তিনি খুব কষ্ট করে মানুষ করেছেন। কিন্তু ছেলে সোমনাথ কোন কাজকর্ম করে না। বিয়ে করেছে দুই বড় বড় ছেলে আছে। ছেলের বউ এবং নাতিরা খুব ভালো কিন্তু ছেলে তার ওপরে শারীরিকভাবে অত্যাচার করে। কোন কাজকর্ম করে না অথচ নিত্য নতুন মোবাইল কিনে বেড়ায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। রেখা দেবী জানালেন এরকম ছেলে যেন কারো কপালে না জোটে। কোন মা যেন এরকম ছেলে জন্ম না দেন।
তিনি জানতে চান তার সাথে ছেলে কেন এমন ব্যবহার করলো। তিনি আরো জানান ছেলে, দিনের পর দিন তার স্বামীর সম্পত্তি বেচে খাচ্ছে। এমন কি সেদিন চিকিৎসা করানো নাম করে একটি কাগজে সই করিয়ে নেয়। বৃদ্ধা ভয় পাচ্ছেন তার বাড়িটাও কি লিখে নিল তার ছেলে। তিনি আমাদেরকে জানালেন তাকে শিয়ালদা ট্রেনে উঠিয়ে দিলে বাড়ি ফিরতে পারবেন। আর একটাই ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছেন সন্তান না হোক,মেয়ে হোক কিন্তু এরকম ছেলে যেন কোন মায়ের না হয়।