বাংলা ভোটে অটুট হিংসার ‘ঐতিহ্য’! তবুও ভোটের লাইনে ৮০% ভোটার

বাংলা ভোটে অটুট হিংসার ‘ঐতিহ্য’! তবুও ভোটের লাইনে ৮০% ভোটার

কলকাতা:  শুরুটা ছিল মোটের উপর শান্তিপূর্ণ৷ কিন্তু ঘড়ির কাটা যত এগিয়েছে, ততই বেড়েছে উত্তেজনা৷ ফিরেছে বঙ্গ ভোটের পুরনো স্মৃতি৷ প্রথম দফা বুঝিয়ে দিয়েছে, আগামী সাত দফাতেও রয়েছে বড় চ্যালেঞ্জ৷ তবে এদিন রেকর্ড সংখ্যক ভোট পড়েছে৷ সন্ধে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৮২.৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে খবর৷ 

আরও পড়ুন-  ‘বিজেমূল’কে বিঁধে প্যারোডিতে ‘খেলা শেষে’র ডাক বামেদের

এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়ারির দাদরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ চলাকালীন পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে ভোট দেওয়ার জন্য বলেন৷ সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ চলে অবরোধ৷ অন্যদিকে বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে খেজুরি৷ বোমাবাজি চলে  নন্দীগ্রামেও৷ 

দাঁতনের মোহনপুর থানা এলাকায় ভোট চলাকালীন ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল এবং বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। দলীয় পতাকা ছেঁড়াকে কেন্দ্র করেই অশান্তি বাধে৷ বিজেপি কর্মীদের আক্রমণে এদিন নন্দীগ্রামের স্থানীয় ৩ তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশকে সাহায্য করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে লাঠি চার্জও করা হয়৷ 

অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা ও শালবনিতেও উত্তেজনা ও সংঘর্ষের খবর মিলছে৷ শুকনাতোড়ের বুথে এজেন্ট বসানোকে কেন্দ্র করে সিপিএম প্রার্থী সুশান্ত ঘোষের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বচসা থেকে পরে চরম অশান্তির সৃষ্টি হয়৷ সুশান্ত ঘোষের গাড়ি লক্ষ্য করেও হামলা চলে৷ তাঁকে লক্ষ্য করে ইট মারার অভিযোগ উঠেছে। 

আবার, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দক্ষিণ কাঁথিতে ভিভিপ্যাট নিয়ে বড়সড় অভিযোগ ওঠে। অধিকাংশ ভোটারের অভিযোগ, তৃণমূলে ভোট দিলে তা বিজেপিতে চলে যাচ্ছে৷ এই অভিযোগ খতিয়ে দেখে নির্বাচন কমিশন৷ 

প্রথম দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ছাতনা৷ সেখানে প্রার্থীদের বুথে ঢুকতে বাধা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা৷ এমনকী নির্দল প্রার্থীকে ঘার ধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়া হয়৷ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় সাংবাদিককে৷ এর পরেই জানা যায়, ছাতনা আর রানিবাঁধ মিলিয়ে মোট ৩টি বুথে ভোট বয়কট হয়েছে৷ 

আরও পডুন- টেপ তরজা: বুথ এজেন্ট নিয়ে এবার মুকুল-বাজোরিয়ায় কথোপকথন ফাঁস করল তৃণমূল

পাশাপাশি এদিন ভোটের উত্তাপ বাড়িয়ে হামলা চালানো হয় শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর গাড়িতে৷ গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি মারধর করা হয় সৌমেন্দুর সঙ্গে থাকা আরও এক ব্যক্তিকে৷  

সব মিলিয়ে আজ সারা দিন পাঁচ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর মিলেছে৷  তবে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া মোটের উপর ভোট ছিল শান্তিপূর্ণ৷ বহু জায়গায় ভোট দিতে না পারার অভিযোগও তুলেছেন প্রার্থীরা৷ তবে সব মিলিয়ে ভোট পড়েছে ৮০ শতাংশেরও বেশি৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − one =