নকশালবাড়ি ও শিলিগুড়ি: দুই প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সংঘর্ষ। ঘটনায় আহত হলেন তিনজন শিক্ষক। শনিবার ঘটনাটি ঘটে নকশালবাড়ির নন্দপ্রসাদ হাইস্কুলে। দুই সংগঠনই তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত বলে জানা গিয়েছে। দুপক্ষই পরস্পরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে। যদিও এই ঘটনাটি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি শিলিগুড়ি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়রম্যান ডঃ প্রণব ভট্টাচার্য।
জেলার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতাটি নকশালবাড়ির কোন মাঠে হবে, তা নিশ্চিত করতেই এদিন মূলত একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বামেদের নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কর্তারা। হাতিঘিসা রেল ময়দান, নাকি নকশালবাড়ির খালপাড়া বা আদিবাসী মাঠে খেলাটি হবে, তা নিয়ে সভার শুরু থেকেই তৃণমূলের দুই শিক্ষক সংগঠনের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে। সভা শেষে শুরু হয় সংঘর্ষ। রীতিমতো মারামারি করতে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কর্তাদের। ঘটনায় জখম হন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি তথা তৃণমূল কাউন্সিলার রঞ্জন শীলশর্মার ঘনিষ্ট সুরজিত্ বড়ুয়া, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি বিভাস চক্রবর্তী ও এই সংগঠনের অন্যতম নেতা বিরাজ সরকার। তিনজনকেই নকশালবাড়ি হাসপাতালে নিযে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিত্সাধীন রয়েছেন সুরজিতবাবু। প্রাথমিক চিকিত্সার পর বাকি দু’জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে, দুপক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে নকশালবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সুরজিতবাবুর অভিযোগ, বৈঠক থেকে তাঁরা যখন বের হচ্ছিলেন, সে সময়ই কয়েজন শিক্ষক তাঁদের ওপর হামলা চালান। পালটা অভিযোগ এনে বিরাজবাবু বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে আমাদের আক্রমণ করা হয়েছে। সমস্ত প্রমাণ আমাদের কাছে আছে।’ জেলা বার্ষিক ক্রীড়ায় পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে মাঠের দখলদারি নিয়ে এই লড়াই বলে মনে করা হচ্ছে।