কাঁথি: তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছড়া হয়েছিল যে, নিজের বাড়িতে পদ্ম ফুটিয়ে দেখাতে হবে। খড়দহ থেকে জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী কার্যত সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে দাবি করেছিলেন নিজের বাড়িতেও পদ্ম ফোটাবেন তিনি। এদিন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর যোগ দিলেন বিজেপিতে। এক কথায় তৃণমূল কংগ্রেসকে সেই চ্যালেঞ্জের জবাব দিলেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন সাংসদ। একইসঙ্গে এ দিন রীতিমতো ঘোষণা করে দিলেন, ৩০ জানুয়ারির মধ্যে ১০০ শতাংশ সফল হবে বিজেপি এবং দক্ষিণ কাঁথি আসন জয় করবে গেরুয়া শিবির।
এদিন কাঁথিতে জনসভা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করছে যে তাঁর সঙ্গে নাকি বিজেপির ডিল হয়েছে। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, অবশ্যই ডিল হয়েছে, প্রত্যেক বছর এসএসসি পরীক্ষায় চাকরি হবে, ক্ষমতায় এলে রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু হবে, টেট পাস করা প্রার্থীদের চাকরি হবে, এই ব্যাপারগুলোতে ডিল হয়েছে। শুভেন্দুর কথায়, রাজ্য সরকার ভোট করাতে ভয় পায়, আর যদিও বা ভোট হবে তাহলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো ভোট লুট করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রসঙ্গেই শুভেন্দুর স্পষ্ট বক্তব্য, ৩০ জানুয়ারির মধ্যে ১০০ শতাংশ সফল হবে বিজেপি, সেই সফলতার পথ ইতিমধ্যেই হাঁটা শুরু হয়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কোনো আসনে পিছিয়ে থাকলেও সেখানে এবার এগিয়ে যাবেন তাঁরা। এর পাশাপাশি নাম না করেও তৃণমূল এক সাংসদকে শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করে বলেন, কেউ বলছেন মেদিনীপুরে নাকি বিশ্বাসঘাতকরা জন্মায়, তাদের মনে করিয়ে দিই এখানে বিদ্যাসাগরের জন্মান। মেদিনীপুরের এই অপমান এখানকার মানুষ সহ্য করবে না।
রাজ্যের বাকি জেলা বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের গুরুত্ব দেয় না তৃণমূল কংগ্রেস, এদিন এই মন্তব্য করেও রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, হরিশ মুখার্জি আর হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাইরে এরা কিছু ভাবতে পারে না। কোন জেলাকে গুরুত্ব দেয় না, উত্তরবঙ্গকে গুরুত্ব দেয় না। জেলার লোকগুলোকেও পাত্তা দেওয়া হয় না। উল্লেখ্য, এদিন সকালে নন্দীগ্রামের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি করেছিলেন, ৮ তারিখ শক্তি দেখাবো নন্দীগ্রামে। তাঁর কথায়, তৃণমূলের পায়ের মাটি সরে গিয়েছে তাই জন্য ভয় পেয়ে বারবার বিজেপির ওপর আক্রমণ করেছে তারা। মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী নিয়েছিলে হামলা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, এই অভিযোগ তোলা হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেই প্রসঙ্গে এদিন জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী সকলকে কার্যত আশ্বস্ত করে বলেন, ৮ তারিখের জনসভায় আসার সময় কাউকে যদি কোথাও আটকানো হয় তাহলে যেন তাঁকে সরাসরি ডাকা হয়, তিনি সামনে থেকে লড়াই করেন, সেদিনও সামনে থেকেই লড়াই করবেন। একইসঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের কাছে তাঁর দাবি, ১ লক্ষ লোক দিতে হবে সেদিন। একই সঙ্গে এদিন শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, আজ কমপক্ষে ৫,০০০ তৃণমূল কর্মী ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করবেন।