বনগাঁ: চলছে লকডাউন৷ আগামী ৩ মে দ্বিতীয় দফার লকডাউন ভবিষ্যৎ নির্দিষ্ট হবে৷ আদও ওই দিন লকডাউন উঠবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা৷ লকডাউনের চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে ফের শুরু হয়ে গেল পেট্রাপোল সীমান্তের আমদানি-রফতানি পর্ব৷ করোনা কবলিত বাংলাদেশের সঙ্গে শুরু হয়েছে পণ্যবাহী লরি খালাসের কাজ৷ পেট্রাপোল স্থল বন্দরের জিরো পয়েন্টে চলছে খালাস পর্ব৷
যদিও লকডাউন পর্বে সীমান্ত বাণিজ্য চালু করার বিষয়ে বুবধার পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশের ক্লিয়ারিং এজেন্টদের সঙ্গে জিরো পয়েন্টে বৈঠক করা হয়৷ বৈঠকের পর জিরো পয়েন্টে পণ্য খালাসের বিষয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হয়৷
লকডাউনের জেরে পেট্রাপোল সীমান্তে প্রায় ২ হাজার ১০০ গাড়ি থমকে ছিল৷ পণ্য পরিবহণ বন্ধ থাকায় প্রচুর মানুষ কিছু দিনের জন্য কর্মহীন হয়ে পড়েন৷ কোটি কোটি টাকার ক্ষতিও হয় সীমান্তে৷ সেই ক্ষতি কমাতে পেট্রাপোল হয়ে বাংলাদেশের বেনাপোলে শুরু হয়েছে বাণিজ্য৷ কিন্তু বাণিজ্য ক্ষতি রুখতে গিয়ে সীমান্তে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে না তো? এমনিতেই করোনা প্রভাবিত হয়েছে বসে আছে উত্তর ২৪ পরগনা৷ তার উপর বাংলাদেশও করোনা প্রবল ভাবে থাবা বসিয়েছে৷ আর এই পরিস্থিতিতে কোনও ভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে, তার দায় নেবে কে? চিন্তায় ঘুম ছুটেছে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের৷