কলকাতা: তীব্র দহন জ্বালায় প্রলেপ দিয়ে দক্ষিণবঙ্গে ঘটেছে হাওয়া বদল৷ বৈশাখের আকাশে মেঘার ঘনঘটা৷ মঙ্গলবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার৷ দফায় দফায় বৃষ্টি নেমেছে৷ এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি৷ চলতি মাসেই কি আছড়ে পড়বে সাইক্লোন? তৈরি হয়েছে তেমনই আশঙ্কা৷ যদিও আবহাওয়া দফতরের তরফে এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের কোনও পূর্বাভাস জারি করা হয়নি৷ কিন্তু, মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনাও পুরোপুরি খারিজ করেননি তাঁরা। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে৷ যা থেকে তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ৷ আশঙ্কা, ওই নিম্নচাপই পরবর্তীকালে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে৷
আরও পড়ুন- খুশির ইদেও থমথমে বগটুই, দোষীদের ফাঁসিই তাদের আনন্দ দেবে
ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগামী ৪ মে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে আগামী ৬ মে সংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপ তৈরি হবে৷ যা ২৪ ঘণ্টা পর আরও ঘনীভূত হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ আমরা গোটা পরিস্থিতির উপর নজরে রাখছি।” আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জি কে দাস সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, ‘‘এখন থেকেই নিম্নচাপ কিংবা এর থেকে সৃষ্টি সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি সম্পর্কে বলা সম্ভব নয়। তবে, তিনি একথাও জানিয়েছেন যে, মে মাসে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এর পরবর্তী সময়ে কী পরিস্থিতি তৈরি হবে, তা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যাবে৷’’
দিল্লির মৌসম ভবন (IMD)-ও জানাচ্ছে, চলতি মাসেই দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। যা পরবর্তী সময়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলেই আশঙ্কা৷ এই প্রসঙ্গে IMD ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্রের কথায়, ”সাধারণত মে মাসে বঙ্গোপসাগরে কোনও নিম্নচাপ তৈরি হলে তা ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও পূর্বাভাস নেই।” তিনি আরও বলেন, ”সাধারণত বছরে দুটি সময়ে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়ে থাকে। একটি হল প্রাক বর্ষার সময়, অর্থাৎ, মার্চ-এপ্রিল-মে। অপরটি বর্ষার পর, অর্থাৎ অক্টোবর-নভেম্বর-ডিসেম্বর। তবে অধিকাংশ ঘূর্ণিঝড়ই হয়ে থাকে মে মাস থেকে নভেম্বরের মধ্যে। তাই মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয়৷ আপাতত গোটা পরিস্থিতির উপর আমরা প্রতিনিয়ত নজর রাখছি।’ বলে রাখা ভালো, এর আগে ২০২০ সালে মে মাসে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় আম্পান৷ আর ২০২১ সালে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় যশ৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>