কলকাতা: আক্রমণ, প্রতিআক্রমণের রাজনীতিতে উত্তাল পরিস্থিতি। ১ মার্চে শহিদ মিনারের সভায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে অমিত শাহের কটাক্ষ। ঠিক তার পরদিনই নেতাজি ইন্ডোর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা আঙুল তুললেন কেন্দ্রের দিকে। তৃণমূল ও বিজেপি-র এই লড়াইয়ের মধ্যেই উভয়ের আঁতাতের অভিযোগ তুললেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী।
দিল্লিকাণ্ডে শান্তিকামনার জন্য পুজো দিতে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোর বৈঠক। তাই পুরীতে পুজো দেওয়ার ঘটনাকে কটাক্ষ করে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছিলেন, 'জগন্নাথদেবকে পুজো দিতে নয়, অমিত শাহকে পুজো দিতে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী।’ এবার অমিত শাহ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা থেকে পরস্পরের প্রতি কাদা ছোড়াছুড়ির ঘটনাকে রাজনৈতিক অভিসন্ধি বলেই মনে করছেন সুজন চক্রবর্তী। সোমবার এমনই জানালেন তিনি।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, 'চারদিন অপেক্ষায় ছিলেন। চারদিন অপেক্ষায় থেকে একান্তে, নিভৃতে আলোচনা করেছেন। ফলে অমিত শাহ কী বলছেন এবং কেন বলছেন, কোন কথাটা বললে কার সুবিধে হবে, বিজেপি-র কতটা লাভ, এর সবচেয়ে ভাল অঙ্ক যাঁরা জানেন, তাঁর একজনের নাম অমিত শাহ। আর অন্যজনের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা নিশ্চিতভাবে জেনে রাখতে পারেন, পশ্চিমবাংলার মানুষ তৃণমূল ও বিজেপি-কে সাফ করার জন্য লড়াই করবে।'
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বোঝাপড়ার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, 'এখন না বলে কোনও উপায় ছিল না। কারণ বোঝাপড়া হয়ে গেছে। বোঝাপড়ার হবার আগে পর্যন্ত কিছু বলেননি। 'বোঝাপড়া তো হয়েই গেল। এবার চলো, আমিও একটু গাল দেব, তুমিও একটু গাল দেবে'। মানুষের কাছে ধরা পড়ে গেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' এমনকী, নেতাজি ইন্ডোর থেকে অমিত শাহকে কটাক্ষ করা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণকে 'ছেঁদো কথা' বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এছাড়াও এদিন রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে সমালোচনা করেছেন সুজন চক্রবর্তী। পরিহাস করে বলেন, 'পাহাড় দেখতে চান? দার্জিলিং যান। জঙ্গল দেখতে চান? সুন্দরবন যান। উন্নয়ন দেখতে চান? তাহলে তৃণমূল প্রধান আর কাউন্সিলারের বাড়িতে যান, উন্নয়ন দেখতে পাবেন।'