কলকাতা: তাঁর মন্তব্যে রীতিমতো ‘বিড়ম্বনায়’ পড়েছে দল৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন তিনি৷ এমনকী দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, ‘তৃণমূলের পচে যাওয়া অংশ’৷ দুর্নীতিগ্রস্তদের দল থেকে ছেঁটে ফেলার পক্ষেও সওয়াল করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার৷ তিনি এও জানান, দলের নেতাদের দুর্নীতি ধরা পড়তেই কথা শুনতে হচ্ছে বন্ধুদের কাছ থেকে৷ অনেকেই তাঁকে বলেছেন, ‘তৃণমূল ছেড়ে চলে এসো’৷ জহরের মুখ থেকে এহেন মন্তব্য আসতেই মঙ্গলবার দিনভর তা নিয়ে চর্চা চলে দলের অন্দরে৷ কেউ কেউ মনে করছেন, জহরের পদত্যাগ করা উচিত। কেউ কেউ আবার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কথাও তুলেছেন।
এ দিন জহর বলেন, ‘‘যিনি আমাকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন, তিনি যদি ক্ষুব্ধ হন এবং চলে যেতে বলেন, তাহলে পদত্যাগ করে চলে যাব।’’ প্রসঙ্গত, জহর সরকারকে রাজ্যসভায় যাওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন সেই প্রস্তাব গ্রহণ করার এক ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে এই প্রাক্তন আমলার নাম ঘোষণা করেছিল তৃণমূল।
কিন্তু, সম্প্রতি জেল হেফাজতে থাকা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সম্পর্কে জহর বলেন, ‘‘শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে পার্থবাবুকে দেখেছি। অনেকবার কথাও বলেছি৷ টিভিতে দেখার পর বিশ্বাস হচ্ছিল না। ওঁর আদ্যন্ত ভদ্রলোকের ইমেজ! তিনি কার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন, তা নিয়ে অবশ্য আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু দুর্নীতির টাকা দিয়ে তাঁকে অলঙ্কৃত করা! এটা দেখলেই কেমন যেন গা শিরশির করে।’’ বান্ধবীকে ফ্ল্যাট কিনে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সব পেশাতেই একটা শ্রেণি আছে, যাঁরা ধাপ্পাবাজি করতে এসেছে৷ রাজনীতিতেও অনেকে ধান্দাবাজি করে। কিন্তু এ বার যে ভাবে করল সেটা সত্যিই দৃষ্টিকটু।’’
এর পরেই এ দিন দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘প্রয়োজনে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে জহরবাবুর বক্তব্য নিয়ে আলোচনা করা হবে। তবে এখনই কিছু বলছি না।’’ তবে বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় সরাসরি জহরের পদত্যাগের দাবি করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘সাহস থাকলে জহরবাবু পদত্যাগ করুন। দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির পদক্ষেপ করা উচিত।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>