কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ডিজাস্টার পিএম’ মন্তব্যের পালটা মন্তব্য দলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ রাজধানীতে কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে সংবাদমাধ্যমে দিলীপের দাবি, ‘‘আমরা ভাবছি এবার ডিজাস্টার সিএম তৈরি করব৷’’ তাঁর প্রশ্ন, যদি ‘ডিজাস্টার পিএম’ হয়, তাহলে ‘ডিজাস্টার সিএম’ হবে না কেন? তবে, ‘পিএম’ হোক কিংবা ‘সিএম’, লোকসভা ভোটের আগে ‘ডিজাস্টার’ তত্ত্বে তপ্ত বাংলা রাজনীতির ময়দান৷
শুক্রবার ‘অক্সিডেন্টাল পিএম’- ছবির মুক্তি নিয়ে সমালোচনায় মুখর হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, সামনে ভোটের দিকে তাকিয়ে অ্যাক্সিডেন্টাল ছবিটি বানানো হয়েছে। এতে তথ্য বিকৃত করা হয়েছে।
এটা একটা ছবি। তাতে নান্দনিক বোধের প্রতিফলন হয়েছে, কিনা তা নিয়ে শিল্পের সমজদাররা আলোচনা করবেন, সেটাই তো স্বাভাবিক। রাজনীতি ও তার হাজার বিষয় বাদ দিয়ে ছবির তথ্য বিকৃতি নিয়ে মুখ খুললেন মমতা। এদিন উত্তর ২৪ পরগনায় যাত্রা উৎসবে মমতা বলেন, ‘‘এবার ডিজাস্টার পিএম নামে আর একটা ছবি হওয়া উচিত।’’ অর্থাৎ তিনি কাকে ইঙ্গিত করেছেন, তা বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না৷ মোদিকে ‘গব্বর সিং’ বলেই সমালোচনা করেন তিনি৷ তাঁর কথায়, ‘‘আগে মোদি আয়নায় নিজের দিকে তাকান।’’ মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মদয়ানে নামেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা৷ মোদির নামে আগে ‘ডিজাস্টার’ শব্দটি যোগ হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে গেরুয়া শিবির৷
মোদি যদি ছবির মাধ্যমে ১৯-এর প্রচার করতে চান, তাহলে মমতাও কি একই কাজ করলেন না? অ্যাক্সিডেন্টাল পিএম ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনুপম খের। ছবির ট্রেলার মুক্তির পরেই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লোকসভা ভোটের আগে এই ছবি প্রচার করে লাভবান হতে চাইছে বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেস তেড়েফুঁড়ে আসরে নেমেছে। তাদের অভিযোগ, রাফালে থেকে কৃষক সমস্যা সহ আরো একাধিক ইস্যুতে নাজেহাল মোদী। তাই এভাবে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দিতে তিনি এই অপকৌশল নিয়েছেন। এই ছবির মাধ্যমে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কংগ্রেস এর প্রদর্শন রুখে দিতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে সেই চেষ্টা শুরু হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও সাফল্য পাচ্ছেন তাঁরা।