হাওড়া: বাংলায় বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসত তাহলে আজ কি পরিণতি হত৷ ত্রিপুরা দেখে সেটা মানুষ আন্দাজ করতে পারছেন। হাওড়ায় মন্তব্য তৃণমূলের অন্যতম ছাত্র নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের৷ দেবাংশুর কথায়, ‘‘বিজেপির নেতারা নিজেদের রাজনৈতিক নেতা হিসেবে দাবি করলেও আদতে ওরা পুলিশ, গুন্ডা দিয়ে মস্তানি করে এলাকার কর্তৃত্ব নিজেদের হাতে রাখতে চায়৷ ত্রিপুরার ঘটনা সেটাই দেখিয়ে দিল৷’’
পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ সহ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর ত্রিপুরায় বর্বরোচিত অগণতান্ত্রিক আক্রমণ এবং গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে হাওড়া ময়দান ফ্লাইওভার চত্বরে ধিক্কার সভা হয়। এরপর সেখান থেকে সালকিয়া চৌরাস্তা পর্যন্ত হাওড়া জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলে অংশ নেন তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী অরূপ রায়, কল্যাণ ঘোষ, দেবাংশু ভট্টাচার্য, হাওড়া জেলা সদর তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি তুষার কান্তি ঘোষ, তৃণমূল নেতা ভাস্কর ভট্টাচার্য, অজয় ভট্টাচার্য, সুশোভন চট্টোপাধ্যায়, কৈলাশ মিশ্র, বিধায়ক গৌতম চৌধুরী, ডাঃ রানা চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, বাংলায় বিজেপি যদি সত্যিই ক্ষমতায় আসত তাহলে আজ কি পরিণতি হত, ত্রিপুরা দেখে সেটা মানুষ এখন আন্দাজ করতে পারছেন। ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় পরিবর্তন হবেই। উল্লেখ্য, রবিবার আগরতলায় গ্রেফতার হন তৃণমূলের নেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। সায়নীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এদিন হাওড়ায় এই ধিক্কার সভা ও মিছিলের আয়োজন করা হয়।