দাসপুর: বাংলায় পদ্ম ফোটাতে মরিয়া বিজেপি ভোট ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সর্বশক্তি দিয়ে৷ মঙ্গলবার রাজ্যে একযোগে ভিন্ন জায়গায় প্রচার চালালেন যোগী আদিত্যনাথ এবং রাজনাথ সিং৷ এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের সভা থেকে বাম-কংগ্রেসকে একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী৷ তুলোধোনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসকে৷
আরও পড়ুন- আমি ঘরে বসে থাকলে মানুষ বিজেপির যন্ত্রণা থেকে নিস্তার পাবে না: মমতা
রাজনাথ বলেন, প্রথমে কংগ্রেস ও পরে ৩৫ বছরের বাম শাসনে বাংলার পরিস্থিতি করুন থেকে করুনতর হয়ে গিয়েছিল৷ বাংলার মানুষের আশা ছিল রাজ্যে পরিবর্তন আসলে বিকাশ হবে, দারিদ্রতা দূর হবে৷ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার আসার পর দারিদ্রতা আরও বেড়ে গিয়েছে৷ বাংলা সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক চেতনার কেন্দ্র বিন্দু ছিল৷ এখানে একাধিক মহাপুরুষের জন্ম হয়েছে৷ কিন্তু গত ৪৫ বছরে বামপন্থী ও তৃণমূল কংগ্রেস সরকার পশ্চিমবঙ্গকে ধ্বংস করে দিয়েছে৷ এবার পরিবর্তনের সময় এসে গিয়েছে৷ বাংলার মানুষ বিজেপি’র প্রতি আস্থা দেখিয়েছে৷ আশার চেয়েও বেশি দিয়েছে৷ রাজনাথ বলেন, গত লোকসভা ভোটে ৪২টি আসনের মধ্যে আপনারা ১৮টি আসন তুলে দিয়েছিলেন বিজেপি’র হাতে। শুধু লোকসভা নয়। মমতা দিদিকে এই বার্তা দিয়ে দিন, বিধানসভা নির্বাচনে ২০০-র বেশি আসনে জিতে বিধানসভায় যাবে ভারতীয় জনতা পার্টি৷ তাঁর কথায়, উত্তরপ্রদেশ থেকে শুরু করে বিজেপি শাসিত প্রতি রাজ্যে, যেখানেই উগ্রবাদ ছিল, সেখানে আজ শান্তি বিরাজ করছে৷ বাংলায় ধ্বংস ছাড়া কিছুই হয়নি৷ বাংলায় এত হিংসা কেন? বাংলার মানুষ মমতা দিদির কাছে সেই প্রশ্নের জবাব চায়৷ কিন্তু ওঁনার কাছে এই প্রশ্নের কোনও জবাব নেই৷
আরও পড়ুন- বাংলায় গরু পাচার, গো হত্যা করে তৃণমূল সরকার, রেশন যায় অনুপ্রবেশকারীদের হাতে, তোপ যোগীর
রাজনাথ আরও বলেন, নরেন্দ্র মোদী বাংলার জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে৷ প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনায় বিনা পয়সায় অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা করে দিয়েছে৷ সরাসরি মানুষের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হচ্ছে৷ রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন উনি বলতেন আমি কী করব, আমি নিরুপায়৷ কিন্তু নরেন্দ্র মোদী বললেন, আমরা এতটা নিরুপায় নই৷ পুরো টাকা সরাসরি দিল্লি থেকে মানুষের অ্যাকাউন্টে যাবে৷ একবার পাঁচ বছরের জন্য বিজেপি সরকারকে ক্ষমতায় আসার সুযোগ দিন, কারও তোলাবাজি আর কাটমানি নেওয়ার হিম্মত হবে না৷ বিজেপি সরকার এলে রাজ্যে কোনও হিংসা থাকবে না৷ বিজেপি ক্ষমতায় এলে দলমত নির্বিশেষে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ পাবে রাজ্যের প্রতিটি মানুষ৷