কলকাতা: হাথরাসকাণ্ডে পথে নেমে আজ প্রতিবাদ জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন বিজেপি’র বিরুদ্ধে৷ হাথরাসে দলিত তরুণী নির্যাতন ও তাঁর মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, আমাদের রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটনা ঘটলে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ করি৷ এর পরেও দেশে যত কমিশন আছে, সকলে এখানে চলে আসে৷ সব নেতারা চলে আসেন৷ কোনও গুরুতর ঘটনা ঘটলেও আমরা কাউকে বাধা দিই না৷ কিন্তু উত্তরপ্রদেশের ক্ষেত্রে তা হয় না৷
আরও পড়ুন- ‘গান্ধীজি বেচারা! দেশের সবচেয়ে বড় মহাপুরুষ বিজেপি’, কটাক্ষ মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দিল্লিতে অত লোক হংসায় মারা গেল, বিচার হল? উত্তরপ্রদেশে দলিতের উপর অত্যাচার হল, কটা কমিশন গেল? আমরা বলার পর যাবে? দলিত, আদিবাসীদের উপর অত্যাচার হচ্ছে৷ মেয়েদের ধরে মারা হচ্ছে৷ কটা কমিশন যাচ্ছে? বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোনও ঘটনা ঘটলে কমিশন পাঠানো হয় না৷ অথচ মিনাখায় ছোট্ট একটা ঝামেলা হলেও, চারটে কমিশন চলে আসে৷ ডিজি, এডিজি, এসইপি, জেলা শাসককে ডেকে পাঠানো হয়৷ প্রশ্নের পর প্রশ্ন করা হয়৷ এদিকে, রেল থেকে ভেল আর এয়ার ইন্ডিয়া থেকে বিএসএনএল সব বেচে দিচ্ছে৷ কৃষকদের ভাতে মারার চেষ্টা হচ্ছে৷ লকডাউনে লক্ষ লক্ষ লোক বেকার হয়ে গেল৷ সে দিকে নজর নেই৷
আরও পড়ুন- হাথরাসে ‘ভারত কী বেটি’র সুবিচারের দাবিতে তুমুল প্রতিবাদ রাজধানীতে
তিনি আরও বলেন, কতজন পরযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হল, সেই তথ্য নেই কেন্দ্রের হাতে৷ কত কৃষক আত্মহত্যা করেছে, সে তথ্যও নেই৷ অথচ পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে সব তথ্য ওদের কাছে আছে৷ বাংলায় নাকি আইন-শৃঙ্খলা নেই৷ তাই যদি হয়, তাহলে সংবাদমাধ্যমকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন, কোনও দিনও তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে কিনা? তারা স্বাধীনভাবে এ রাজ্যে কাজ করতে পারে৷ তৃণমূল নেত্রী বলেন, হাতরাসে ওই পরিবারটিকে দেখার জন্য প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলাম৷ গ্রামে ১ কিমি আগে প্রতিনিধিদের আটকে দেওয়া হল৷ আমার কাছে খবর আছে, সেখানে সাংবাদিকদেরও ভয় দেখানো হচ্ছে৷
তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘‘এক দিন সিঙ্গুরেও হাথরাসের মতো এমন ঘটনা ঘটেছিল৷ সেই সময় আমরা ২৬ দিন অনশন আন্দোলন করেছিলাম৷ আজ উত্তরপ্রদেশে দলিতদের উপর যে অত্যাচার হচ্ছে তার প্রতিবাদে প্রতিটি দলিত,আদিবাসী গ্রামে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রচার করবে৷ প্রতিটি ব্লকে চলবে এই প্রতিবাদ৷ হাথরসের ঘটনা নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় পোস্টারিং করা হবে৷’’