কলকাতা: মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেনের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। বোমার আঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি। যদিও এখন তিনি স্থিতিশীল। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে বিশেষজ্ঞ দল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই দাবি করেছিলেন যে এই ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত এবং দায়িত্ব নিতে হবে রেলকে। এখন এই ঘটনায় যে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দল তদন্ত করছেন তারা দাবি করছেন যে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এমনকি রাজ্যের মন্ত্রী ওপর হামলার ঘটনায় যুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে জেএমবি বা অন্য জঙ্গি সংগঠনেরও।
রাজ্যের মন্ত্রী ওপর বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তাতে স্টেশন এলাকায় গর্ত হয়েছে এবং প্রায় ১০০ ফুট দূরে আঙ্গুলের টুকরো মিলেছিল। বিস্ফোরণের তীব্রতা থেকে তদন্তকারীরা অনুমান করছেন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, স্টেশন চত্বরে একটি ব্যাগ পড়েছিল যেটিকে সরাতে যান মন্ত্রীর এক অনুগামী। তাতে হাত দিতেই ঘটে বিস্ফোরণ। মনে করা হচ্ছে এই ঘটনায় ব্যবহার করা হয়েছে অ্যান্টি হ্যান্ডিং ডিভাইস, সেই কারণে ব্যাগে হাত দিতেই বিস্ফোরণ ঘটে। সেই কারণে এই ঘটনায় জামাত জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় রেলের ভূমিকার উপর প্রশ্ন চিহ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন, রেল এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে কিন্তু তারা ব্যাপারটা হালকাভাবে নিচ্ছে। রাজ্যের একজন মন্ত্রী ট্রেন ধরতে যাচ্ছেন কিন্তু সেখানে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না এমনকি জিআরপিও ছিল না।
মমতার জানিয়েছিলেন, একজন মন্ত্রী আমজনতার মত ট্রেন ধরতে যাচ্ছেন, ট্রেনের টিকিট কেটেছেন, সেই অর্থে রেলের সুরক্ষার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের নয়। কিন্তু যে সময় এই ঘটনা ঘটেছে সেখানে নাকি কোনো রেল পুলিশ ছিল না। যাঁরা জাকিরের সঙ্গে ছিলেন তাঁরা জানিয়েছেন, রিমোট কন্ট্রোলে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। মমতা বলেছেন, ওই ঘটনার দায়িত্ব রেলকে নিতে হবে। তাঁর কথায়, ঘটনাটা ঘটেছে রেলের জায়গায়। অথচ রেল গোটা বিষয়টাকে খুব হাল্কা ভাবে দেখছে। ঘটনাটা যখন ঘটে, তখন স্টেশন চত্বরের ওই এলাকা পুরোপুরি অন্ধকার ছিল। কাছাকাছি কোনও রেল পুলিশও ছিল না। তিনি ঘোষণা করেছেন, যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা এবং যারা অল্প আহত হয়েছেন তাদের পরিবার পিছু ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।