নদীয়া: রাত পোহালেই বাঙালির ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। বিগত বছরের তুলনায় ব্যবসার সামান্য কিছুটা হাল ফিরলেও লাভের আশা দেখছেন না নদীয়ার মৃৎশিল্পীরা। তাই আগামী দিনে সংসার চালাতে চিন্তার ভাঁজ মৃৎশিল্পীদের মাথায়।
করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় দুই বছর ধরে বাঙালির উৎসবে ভাটা পড়েছে। কাজ হারিয়ে আর্থিক সংকটে ভুগছেন মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষরা। প্রতিদিন তিন বেলা খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পুজো করবেন কিভাবে। গতবছর অধিকাংশ বাড়িতেই আর্থিক অবস্থার কারণে পা রাখতে পারেননি মা লক্ষ্মী।
মানুষের আর্থিক পরিস্থিতি সামান্য কিছুটা পরিবর্তন হলেও সেই অর্থ দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। এই অবস্থায় উৎসব করবেন কিভাবে সাধারণ মানুষ। মূলত সেই কারণেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মৃৎশিল্পীদের। কারণ, উর্ধমুখী বাজার৷ সবজি থেকে ফল সবেরই দাম আকাশছোঁয়া৷ এহেন পরিস্থিতিতে চরম সমস্যায় দিন আনি দিন খাওয়া পরিবারগুলি৷
নদীয়ার মৃৎশিল্পী সন্তু পাল এবং কাশীনাথ পাল বলেন, এবছর বিক্রি সামান্য কিছু বললেও কতটা বিক্রি হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তার কারণ আমরা আগে থেকেই মূর্তি বানিয়ে থাকি। মূর্তি বানানোর সরঞ্জামের দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। এই কারণেই সব মূর্তি বিক্রি না হলে পড়ে পড়ে নষ্ট হবে। তাই লাভের কথা তো দূর অস্ত খরচের টাকা উঠবে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা। কারণ, বাজার জুড়ে চারিদিকে লক্ষ্মী প্রতিমার ছড়াছড়ি৷