দুর্গাপুর: ভারতে প্রায় ছয়টি সংস্থা করোনা ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছে। তার মধ্যে দুইটি সংস্থার তৈরি ভ্যাকসিন চলতি সপ্তাহেই মানবদেহে ট্রায়াল হবে। বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবীকে ডাকা হবে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য। বাংলা থেকে প্রথম করোনার ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য ডাকা হয়েছে দুর্গাপুরের বাসিন্দা পেশায় স্কুল শিক্ষক চিরঞ্জিৎ ধীবরকে। শনিবার তাঁকে আইসিএমআরের তরফে ফোন করে ডাকা হয়।
জানা গিয়েছে, বাংলা থেকে ৫০ জন হিউম্যান ট্রায়ালে ভ্যাকসিন প্রয়োগে অংশ নিতে চান বলে আবেদন করেছেন। তবে প্রথম ডাকা হল চিরঞ্জিৎকে। তবে শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগের আগে চিরঞ্জিতের শরীরে একাধিক পরীক্ষা করা হবে। সেই পরীক্ষায় পাশ করার পরেই চিরঞ্জিতের শরীরে করোনা পরীক্ষা করা হবে।
চিরঞ্জিৎ বলেছেন, ‘করোনার ভ্যাকসিন পরীক্ষা জন্য আমি মানসিকভবে প্রস্তুত। আমার পরিবার আমার সঙ্গে রয়েছে। গত এপ্রিলে করোনা ভ্যাকসিন পরীক্ষার স্বেচ্ছাসেবী হতে চাই বলে আবেদন করেছিলাম। করোনা ভ্যকসিমন পরীক্ষার অংশ নিতে পেরে গর্ব হচ্ছে।’ আইসিএমআরের তরফে জানানো হয়েছে, করোনার ভ্যাকসিন নিতে তাঁকে পাটনা যেতে হবে। তবে পাটনায় কতদিন থাকতে হবে, সেখানে থাকা খাওয়ার খরচ আসিএমআরের না নিজের সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
চিরঞ্জিতের পরিবার প্রথমে তাঁর সিদ্ধান্তের আপত্তি করলেও পরে তা মেনে নিয়েছেন। চিরঞ্জিতেরর বাবা জানিয়েছেন, প্রথমদিকে আপত্তি করেছিলাম। আইসিএমআরের ফোন আসার পর আর আপত্তি করিনি। বুঝতে পেরেছি, আমার ছেলে আজ যা করছে, তাতে দেশের বহু মানুষের উপকার হবে। ছেলের জন্য গর্ব হচ্ছে। চিরঞ্জিতের পরিবারের পাশাপাশি প্রতিবেশী ও সহকর্মীরা তাঁর পাশে রয়েছেন।