কলকাতা: গত বুধবার অষ্টমীর দিন বাংলাদেশে দুর্গা মণ্ডপ ভাঙচুরের ঘটনায় তোলপাড় দুই বাংলা৷ সেই ঘটনার আঁচ যাতে বাংলায় না পড়ে তা নিশ্চিত করতে তৎপর রাজ্য প্রশাসন৷ সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় সীমান্তবর্তী জেলাগুলির পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক করল আইবি৷ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিকে অতি স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করে চলতি উৎসবের মরসুমের প্রশাসনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য সরকার৷
আরও পড়ুন- ভাড়া না পেয়ে দলীয় দফতরেই তালা ঝোলালেন বনগাঁর BJP বিধায়ক!
রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের সীমান্তবর্তী সব জেলার পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনারদের পরিস্থিতির উপর নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ চিঠি পাঠিয়ে সতর্ক করেছে আইবি৷ মৌলবাদী সন্ত্রাসের আঁচ যাতে সীমান্ত পেরিয়ে এপার বাংলায় ঢুকতে না পারে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সেই দিকে বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে।
বুধবার বাংলাদেশের কুমিল্লায় প্রথম হিংসার ঘটনা ঘটে। সেখানে বেশ কিছু মণ্ডপে ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর হাজিগঞ্জের চাঁদপুর, চট্টোগ্রামের বাঁশখালি ও কক্সবাজারের পেকুয়াতে পর পর বেশকিছু মন্দিরে হামলা চালানো হয়৷ হিংসা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে৷ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২২ জেলায় বিজিবি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- পুজোয় অস্ত্র ব্যবহার করে বিতর্কের মুখে বিজেপি সাংসদ
এদিকে বাংলাদেশে এই অশান্তির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে৷ তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রুজু করেছে পল্টন, রমনা ও চকবাজার থানার পুলিশ৷ বহু অজ্ঞাত পরিচয়ের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করা হয়েছে৷ গ্রেফতার শতাধিক৷ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাফ বার্তা, যারা এই ধরনের অপচেষ্টা করছেন বা অপচেষ্টা করে চলেছেন তাঁদেরকেও চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে৷ বাংলাদেশে ধরপাকড় জারি রয়েছে৷ শুক্রবারের ঘটনায় পথে নেমে সরব হয়েছে ইসকন৷ এদিকে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি৷ বিঁধেছে তৃণমূল৷