‘ওদের আমি টিকিট দিতাম না’, দলবদল করা ‘চোর-ডাকাত’দের কটাক্ষ মমতার

‘ওদের আমি টিকিট দিতাম না’, দলবদল করা ‘চোর-ডাকাত’দের কটাক্ষ মমতার

 

কলকাতা: ‘‘বিজেপি গ্যাস বেলুন। মিডিয়াতেই বেঁচে আছে ওরা’’, পুরোদস্তুর রেশন ডিলারদের কর্মসূচিকে ‘রাজনৈতিক’ কর্মসূচিতে রূপান্তরিত করে দলীয় আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রেশন ডিলারদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় কটাক্ষ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ‘‘বাংলায় মা-মাটি-মানুষের সরকার আসছেই, চিন্তার কোন কারণ নেই।’’

গত শনিবার প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল প্রমুখরা তৃণমূল ছেড়ে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এ নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন বলেন, “কয়েকটা চোর-ডাকাত হঠাৎই প্রচুর টাকা করে ফেলেছে। সেই টাকা রক্ষা করার জন্যই গোবর্ধনের কাছে যাওয়া। গোবর্ধনের ব্যাঙ্কে একটা লকার আছে না? সেখানেই সব টাকা রাখতে যাচ্ছে ওরা। বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে কালো টাকা ঢুকছে আর সাদা হয়ে বেরিয়ে আসছে। ওদের নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই, ওদের এমনিতেও আমি টিকিট দিতাম না। যারা ভালো কাজ করেছেন, তারাই টিকিট পাবেন। যারা খারাপ কাজ করেছেন তাদের কেন টিকিট দিতে যাব?”

সোমবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত রেশন ডিলার ও চাল-গম মিলের মালিকদের মমতা বলেন, “আপনারা আমায় একটু সময় দিন। বাদবাকি আপনাদের ভবিষ্যৎ আমি দেখে নেব।” ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়াকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ওরা লক্ষ লক্ষ টন চাল কেনে। আর বাংলার চাষিদের থেকে কেনে মাত্র ৬৯ হাজার টন চাল। বাংলার চাষিরা যে ভাল চাল দেয় সেটা না দিয়ে যত পচা চাল আমাদের দেয় ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া। বিজেপি শুধু মুখে বড় বড় কথা বলে। রাজ্য সরকার চাষিদের থেকে ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন চাল কিনে সেই চাল রেশনে দেয়।”

সরাসরি বিজেপিকে ঠেস দিয়ে মমতার কটাক্ষ, “বিজেপি গ্যাস বেলুন। মিডিয়াতেই বেঁচে আছে। রাস্তায় রাস্তায় এজেন্সি দিয়ে দলের ঝান্ডা লাগায়। ওরা এভাবেই পতাকা লাগাক এজেন্সি দিয়ে। মিডিয়াতেই ওরা বেঁচে থাকুক। আর আমাদের তৃণমূল কংগ্রেসের জোড়া ফুল মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকুক।” তিনি আরও বলেন, “ভোটের সময় বিজেপি অনেক টাকা দিতে পারে। সেই টাকা নিয়ে ভালো করে মাংস-ভাত খেয়ে নেবেন কিন্তু ভোটবাক্সে সব হিসেব উল্টে দেবেন। টাকা দিয়ে যেন ওরা বাংলার মানুষের ভোট না কিনতে পারে। আজ ওরা সবাই বঙ্গাল-বঙ্গাল করছে কেন? আমাদের সঙ্গে বিজেপির এটাই পার্থক্য। আমরা কাজ করে বলি। আর ওরা শুধু ভোটের আগে কাজ না করেই বলে আর যেটা করবে বলে সেটা করে না।” সরকারি অনুষ্ঠানেও মমতার গলায় আত্মবিশ্বাসী সুর, “চিন্তার কোনও কারণ নেই। বাংলায় মা-মাটি-মানুষের সরকার আসছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 1 =