‘আমি জেলে থেকেও বাংলাকে জেতাব’, বাঁকুড়া থেকে হুঙ্কার মমতার

‘আমি জেলে থেকেও বাংলাকে জেতাব’, বাঁকুড়া থেকে হুঙ্কার মমতার

বাঁকুড়া: বাঁকুড়ায় সরকারি অনুষ্ঠান ও প্রশানসিক বৈঠকের জন্য গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বুধবার বাঁকুড়ায় জনসভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আর সেই মঞ্চ থেকেই বিজেপিকে  নিশানা করে একের পর এক তোপ দাগেন মমতা৷ সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি জোটের বিরুদ্ধে সরব হয়ে মমতা বলেন, “রাজনীতিতে তিন ধরণের লোক হয় লোভী, ভোগী ও ত্যাগী৷ সিপিএম ছিল লোভী, বিজেপি হল ভোগী৷ আর তৃণমূল করতে হলে আপনাদের ত্যাগী হতে হবে৷ ওদের পাল্লায় পড়বেন না৷” এদিন সভার শুরুতেই তিনি আনেন বাঁকুড়ায় বামেদের অত্যাচারের পুরনো খতিয়ান।

এরপরেই তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের দলবদলের প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “কেউ কেউ ভাবছে এখন থেকে লাইনটা করে রাখি বাইচান্স যদি ওরা ক্ষমতায় চলে আসে৷ কোনও বাইচান্স হবে না, চান্সই নেই তো আবার বাইচান্স৷ বাঁকুড়ার একটি একটি করে আসন বুঝে নেব৷ একটাতেও বিজেপি থাকবে না একটাতেও সিপিএম থাকবে না৷ মাথায় রাখবেন একটা একটা করে বুঝে নিতে হবে৷”মমতা এদিন আরও বলেন, টাকার গরম দেখাচ্ছে বিজেপি৷ তৃণমূল নেতাদের ফোন করে বলা হচ্ছে ২ কোটি টাকা দেব চলে আয়৷ বিধায়কদের টাকা লোভ দেখানো হচ্ছে৷

জনসভায় উপস্থিত দর্শকদের মমতা প্রশ্ন করেন, “বাঁকুড়ার মানুষ কি সেই সব অত্যাচারের দিন ভুলে গিয়েছেন?” সিপিএমের সেই হার্মাদরাই আর রঙ বদলে বিজেপির কর্মীতে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। সিপিএম নেতারা সারদা-নারদা মামলা থেকে বাঁচতে বিজেপির পায়ে পড়ে গিয়েছে বলেও কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেত্রী। এদিনের জনসভা থেকে তাঁর চ্যালেঞ্জ, “ক্ষমতা থাকলে আমাকে জেলে ভরুন। সেখান থেকেও তৃণমূলকে বাংলায় ক্ষমতায় আনব।” এ প্রসঙ্গে তিনি বিহারের লালুপ্রসাদ যাদবের উদাহরণও টেনে আনেন। বলেন, বিহারে ম্যানেপুলেশন করে জিতেছে বিজেপি৷ এদিনের জনসভা থেকে বিজেপি ও সিপিএমকে একসঙ্গে তুলোধনা করেন মমতা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − ten =