নয়াদিল্লি: রাজনৈতিক মহলকে স্তম্ভিত করে রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে পদত্যাগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে যে দলবদলের কালো মেঘ দেখা দিয়েছে, দীনেশ ত্রিবেদীর পদত্যাগ এদিন তাকেই আরো খানিক জোরদার করেছে। ইতিমধ্যে গেরুয়া শিবির থেকে স্বাগত বার্তাও পৌঁছে গেছে দলত্যাগী সাংসদের কাছে। কিন্তু আপাতত নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনাই জারি রাখলেন দীনেশ ত্রিবেদী।
এদিন ইস্তফার পর সংসদ থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যসভার প্রাক্তন সদস্য। বলেন, “দম বন্ধ হয়ে আসছিল। ইস্তফা দিয়ে অনেক হালকা লাগছে।” সংসদ থেকে বেরিয়ে আপাতত নতুন দলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী।আগামী দিনে তাঁর রাজনৈতিক পরিকল্পনা কী? এ প্রশ্নের উত্তরে তাঁর সাফ জবাব, “আপাতত নিজের সঙ্গে নিজে থাকবো। যেমন রেলমন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর ছিলাম।”
এদিন রাজ্যসভার পর সাংবাদিকদের সামনেও তৃণমূল কংগ্রেসকে এক হাত নিয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী। তাঁর অভিযোগ দল কর্পোরেট সংস্থার হাতে চলে গিয়েছে। দলীয় নেতৃত্বে রয়েছেন অযোগ্যরা। “যে রাজনীতির ক খ জানে না সে আমাদের নেতা হয়ে গিয়েছে”, বলেন তিনি। এছাড়া দলের অন্দরে বিশৃঙ্খলা নিয়েও সরব হয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী। তাঁর কথায়, “আমি বরাবর হিংসার বিরোধিতা করেছি। তাই যখন এত হিংসা ও দুর্নীতি দেখি খারাপ লাগে। সহ্য করতে করতে সবাইকেই একদিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়।”
উল্লেখ্য, আজ সকালেই রাজ্যসভার সভা মঞ্চে উঠে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন দীনেশ ত্রিবেদী। তিনি বলেন রাজ্যের শাসক দলের কার্যকলাপ দেখে তাঁর দম বন্ধ হয়ে আসছে। তিনি আর চুপ করে থাকতে পারছেন না। তাই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী দিনে বাংলায় গিয়ে মানুষের জন্যে কাজ করতে চান বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর এই আচমকা পদত্যাগে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। দিলীপ ঘোষ অর্জুন সিংয়ের মতো বিজেপি নেতারা তাঁকে দলে স্বাগত জানিয়েছেন।