নিজস্ব সংবাদদাতা, হাওড়া: নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে৷ ততই একের পর এক বেসুরো গাইছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা৷ তালিকায় রয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া৷ সেই একই তালিকায় রয়েছেন প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ তাঁর মান ভাঙাতে আসরে নামেন সৌগত রায়। জানা গিয়েছে, প্রসূন মন খুলে কথা বলেছেন তাঁর সঙ্গে। তবে তাতে কী মানভঞ্জনের পর্ব মিটেছে৷ না অন্যকিছু ভাবছেন তিনি৷ প্রসঙ্গে শনিবার প্রসূণ জানান, ‘মান অভিমান আছে বলে পার্টি ছেড়ে চলে যাবনা। আমার নেত্রী মমতা। আমার দল তৃণমূল।’
একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন,টমান অভিমান আমার মনের ভিতরেও আছে। সেটা দিদির সঙ্গে কথা বলে ঠিক করব। কিন্তু মান অভিমান দেখিয়ে পার্টি ছেড়ে চলে যেতে পারব না। ২০২১এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী দেখে তারপরই আমি আমার মান অভিমানের কথা বলব।” শনিবার তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “পার্টি আমায় হাওড়ায় তিনবার সাংসদ হিসেবে হ্যাট্রিক করিয়েছে। এটা আমার কাছেও ভীষণ গর্বের।’
এদিন দলের বিদ্রোহী নেতা- মন্ত্রীদেরকেও বার্তা দেন তিনি৷ বলেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, লক্ষ্মীরতন শুক্লা এবং বৈশালী ডালমিয়ার প্রতি আমার আবেদন থাকবে রাগ কষ্ট অভিমান ভুলে দলের হয়ে একসাথে লড়াই করুন।” হাওড়া সদরের তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি বেসুরো নই। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আছি। আমার নেত্রী মমতা। আমার পার্টি তৃণমূল কংগ্রেস। তবে, দলের চেয়ারম্যান, সভাপতি বা কো-অর্ডিনেটররা যখন কোনও সিদ্ধান্ত নেন, সেগুলো যদি আমাকে এসএমএস করেও জানিয়ে দেন সেটা ভালো হয়। আমি তো সারাদিন হাওড়াতেই থাকি। আমি হাওড়ারই ভোটার। দলের কে সভাপতি হলেন সেটা যখন আমি জানতে পারিনা সেটা আমার কাছে খুব দুঃখজনক। আর কিছু নয়।”
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ার সাংসদের অভিযোগ ছিল তাঁর সঙ্গে দলীয় নেতৃত্ব কোনও সম্পর্ক রাখে না। এমনকী সাংগঠনিক স্তরে রদবদল সম্পর্কেও তিনি কিছুই জানতে পারেন না। এরপরই সাংসদকে তড়িঘড়ি ফোন করেন সৌগত রায়৷